ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ, সদস্য নুর উদ্দিন ও রাফিজ আহমেদ কর্তৃক প্রক্টর, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও অন্যান্য শিক্ষকদের গালিগালাজের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। বিভাগগুলো হলো— অর্থনীতি, আরবি ভাষা ও সাহিত্য এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
রোববার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পর মিছিল নিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় তিন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলে তাদেরকে 'শিক্ষকদের অপমান সইবে নারে ইবিয়ান', ' প্রক্টরের অপমান সইবে নারে ইবিয়ান', ' ট্রেজারের অপমান সইবে নারে ইবিয়ান', ' প্রোভোস্টের অপমান সইবে নারে ইবিয়ান', ' অপমানকারীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, “যেসব শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিশ্রমী ও সুনামধন্য শিক্ষকদের মধ্যে কয়েকজন। তাদের বিষয়ে ছাত্রদলের নেতারা যে মন্তব্য করেছেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু ওই শিক্ষকরা নন, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের বিষয়ে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক মন্তব্য কোনোভাবেই কাম্য নয়। তারা শুধু ওই শিক্ষকদেরই অবমাননা করেননি, বরং ওই হলের ছাত্রীদের জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এজন্য তাদেরকে শুধু প্যাডে নয়, প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে। আমাদের প্রতিবাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ভবিষ্যতে যেন কেউ শিক্ষক ও ছাত্রীদের বিষয়ে এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য না করতে পারে।
আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী রাউফুল্লাহ বলেন, যারা শিক্ষক ও ছাত্রীদের জড়িয়ে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন, তারা কীভাবে নিজেদের ছাত্রনেতা বলে দাবি করেন? তাদের ভাষা যদি এমন হয়, তবে তা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। তিনি আরও বলেন, গালি দেওয়ার রাজনীতি, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের রাজনীতি এবং শিক্ষক-ছাত্র সবাইকে অপমান করার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। ছাত্র রাজনীতি হতে হবে ছাত্রদের কল্যাণে—অপমান, অশালীনতা বা দম্ভ প্রদর্শনের জন্য নয়।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মুবাশ্বির আমিন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর একটি সংগঠনের কয়েকজন নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে অপমান করেছে। একই সঙ্গে তারা সেখানে উপস্থিত নারী শিক্ষার্থীদেরও অপমান করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে শিক্ষক ও নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি কোনো ধরনের অপমান আমরা আর সহ্য করব না। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে তারা এমন দুঃসাহস দেখানোর সুযোগ না পায়।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর