আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল–আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাননি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। জোটগত আসন সমঝোতার অংশ হিসেবে এ আসনটি শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।
জমিয়তের প্রার্থী মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে বিএনপি এ আসনে কোনো দলীয় প্রার্থী দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন রুমিন ফারহানা
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে আলোচনা চলছিল।
আগেই ছিল ইঙ্গিত
গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। তখন থেকেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়—আসনটি শরিক দলকে দেওয়া হতে পারে।
দলীয় সিদ্ধান্তের আগেও প্রচারণা
দলীয় সিদ্ধান্তের আগেই রুমিন ফারহানা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যান। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তিনি ইঙ্গিত দেন, দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা
মনোনয়ন না পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, “ইনশাআল্লাহ, সবার দোয়ায় আমি নির্বাচন করব। আগামীকাল মনোনয়ন ফরম কিনব। এত বড় দল বিএনপি তাদের নিজস্ব ভালো-মন্দ বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়। যেহেতু জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে জোট হয়েছে, তাই আসন দিতে হয়েছে।”
তিনি জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে দলীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলে তা মেনে নেবেন।
বিএনপির বক্তব্য
এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, আসন সমঝোতার মাধ্যমে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। দলটিকে মোট চারটি আসন ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, সিলেট-৫: মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, নীলফামারী-১: মাওলানা মঞ্জুরুল আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪: মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। এই আসনগুলোতে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না এবং দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসনের ভোটার সংখ্যা
সরাইল, আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৮ জন। বিভিন্ন দলের প্রার্থীর অংশগ্রহণে আসনটি এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠছে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর