ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী আলমগীর শেখকে ভারতে পালানোর চেষ্টা করার ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন যুবলীগ নেতার ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলাম। এই মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্তে জানা গেছে, হত্যা মামলার শুটার ফয়সাল ও মোটরসাইকেল চালক আলমগীর ঘটনাস্থল থেকে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর জন্য অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের ব্যবস্থা করেছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মিরপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী। তার সহযোগী ছিলেন তার ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলাম।
তদন্তে আরও প্রকাশ, ফয়সাল ও আলমগীর ঢাকায় একাধিক যানবাহন পরিবর্তন করে রাতেই সীমান্তে পৌঁছান এবং স্থানীয় দালাল ফিলিপ স্নালের মাধ্যমে সীমান্ত পারাপার হয়। কিছুক্ষণ পর তাইজুল তার ভগ্নিপতি আমিনুলকে ফোন করে ফিলিপের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে আমিনুল ফিলিপকে পাঁচ হাজার টাকা পাঠিয়ে দ্রুত পারাপারের ব্যবস্থা করেন।
পুলিশের অভিযানে ফিলিপের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আমিনুলকে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এর আগে শহীদ হাদিকে গুলি করে হত্যার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে দাফন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর