আগামী দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–এর দেখানো পথে দেশ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ন্যায়পরায়ণতা, মানবিকতা ও শান্তির আদর্শে একটি প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট সড়ক) সংলগ্ন বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চে লাখো নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, আল্লাহর দয়া এবং জনগণের সহযোগিতা থাকলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। আগামী দিনে মহানবী (সা.)–এর দেখানো ন্যায় ও নৈতিকতার পথে দেশ পরিচালনা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, মহানবী (সা.)–এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ গড়তে চান এবং স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করেন—দেশের শান্তিই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
তারেক রহমান আরও বলেন, সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান, যে স্বপ্ন একজন মা তার সন্তানের জন্য দেখেন। অর্থাৎ এমন একটি নিরাপদ দেশ, যেখানে একজন মানুষ নিশ্চিন্তে ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবেন।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে বিমানবন্দর থেকে জনস্রোত পেরিয়ে সরাসরি গণসংবর্ধনাস্থলে উপস্থিত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার আগমনকে ঘিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে কুড়িল বিশ্বরোড ও ৩০০ ফিট সড়কের দুই পাশে বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হন। পুরো এলাকা জনতার ঢলে মুখর হয়ে ওঠে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান। এ সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানান।
বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, আজ দেশের সামনে সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ গড়ার। এই দেশে পাহাড় ও সমতলের মানুষ যেমন রয়েছে, তেমনি হিন্দু, বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষ বাস করেন। তরুণ, নারী-পুরুষ, কৃষক—সবারই রাষ্ট্রের কাছে প্রত্যাশা রয়েছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে সেই প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে শহীদরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং গত ১৫ বছরে মা-বোন ও তরুণ প্রজন্ম যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, ওসমান হাদিসহ যারা শহীদ হয়েছেন- তাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। এজন্য ধৈর্য ধরতে হবে এবং বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, রাব্বুল আলামিনের দরবারে তিনি কৃতজ্ঞ, কারণ জনগণের দোয়ায় তিনি আবার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে লাখো মানুষের আত্মত্যাগে দেশ স্বাধীন হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আধিপত্যবাদ থেকে দেশ ফিরে এসেছে, ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতা, গৃহবধূ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ও গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়, আর সেই লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর