বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে প্রায় দেড় যুগের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন। দেশবাসীর উদ্দেশে ১৬ মিনিটের দীর্ঘ এক বক্তব্যও দিয়েছেন তিনি। সেই বক্তব্য নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ উচ্ছ্বসিত অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। তার মতে, তারেক রহমান এলেন, দেখলেন আর মানুষের হৃদয় জয় করে নিলেন।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এভাবেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে বর্ণনা করেছেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
বিএনপির এ নেতা নিজের পোস্টে লিখেন, একবিংশ শতাব্দীর একজন দূরদর্শী নেতা, যিনি জনগণের জন্য স্পষ্ট পরিকল্পনা এবং জাতির প্রতি গভীর অঙ্গীকার প্রদর্শন করেছেন।
তারেক রহমানের বক্তব্যের একটি অংশ উদ্ধৃত করে এরপর তিনি লিখেন, আমার একটি পরিকল্পনা আছে, আমার দেশের জনগণের জন্য, আমার দেশের জন্য—তারেক রহমান।
পোস্টের শেষ অংশে সালাহউদ্দিন আহমদ লিখেন, “তিনি আসলেন, দেখলেন, জয় করলেন।”

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশের মাটিতে পা রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইট। এরপর বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে একটি বিশেষ বাসে করে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে যান তিনি; যেখানে তার জন্য প্রস্তুত ছিল গণসংবর্ধনার মঞ্চ।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারেক রহমানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে দেখা যায় আনন্দের জোয়ার। গণসংবর্ধনা মঞ্চে উঠেই হাত নেড়ে তাদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছার জবাব দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সবাই মিলে এক নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ফুটে ওঠে তার কণ্ঠে।
উদাত্ত কণ্ঠে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনারা মার্টিন লুথার কিং-এর নাম শুনেছেন। তিনি বলেছিলেন, আই হ্যাভ এ ড্রিম। আমি আপনাদের সকলের সামনে দাড়িয়ে আমি বলতে চাই- আই হ্যাভ এ প্লান। ফর দি পিপল অব মাই কান্ট্রি। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এটি আমরা বাস্তবায়ন করব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা লাগবে। এজন্য আপনারা পাশে থাকবেন। সেটা হলেই কেবল আমরা সেই ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।
২০০৭ সালে ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। এক বছর কারাভোগের পর ২০০৮ সালে তিনি মুক্তি পান এবং চিকিৎসার জন্য স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যান। এরপর থেকেই বিএনপির এই শীর্ষ নেতা লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপন করে আসছিলেন।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর