নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না-এর নাম ঋণখেলাপির তালিকা থেকে অবিলম্বে বাদ দিয়েছে চেম্বার আদালত। এর ফলে তিনি বগুড়া-২ আসন থেকে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথে কোনো বাধা পাননি।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি রেজাউল হকের চেম্বারে মান্নার আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। এদিন মনোনয়ন দাখিলের পূর্বের দিন পর্যন্ত ঋণখেলাপি থাকা সম্পর্কিত বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়।
শুনানিতে বাদীপক্ষে অংশ নেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ব্যারিস্টার আহসানুল করিম এবং অ্যাডভোকেট মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক সুমন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. উজ্জ্বল হোসাইন।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল উজ্জ্বল হোসাইন সংবাদে জানান, ১২-এর দফা (১) ও উপ-দফা (ঠ) অনুযায়ী মান্না ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্য নন, কিন্তু আপিল বিভাগের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হওয়ায় তার নাম ঋণখেলাপির তালিকা থেকে বাদ পড়ে, ফলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো আইনগত বাধা আর থাকছে না।
এর আগে ২১ ডিসেম্বর ঋণ পুনঃতফসিলের আবেদনে নথিপত্র জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় ইসলামী ব্যাংক মান্নার পূর্বের অনুমোদন বাতিল করে। এছাড়া তার করা রিট আবেদনও হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়।
মান্না নিজেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ২০০৭–০৮ সালের দিকে একটি হিমাগার নির্মাণের জন্য ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ব্যবসায়িক অংশীদারের সঙ্গে সমস্যা ও রাজনৈতিক কারণে তিনি জেলে যান। শুরু করা ব্যবসার ঋণ বর্তমানে ৩৬ কোটি টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী বিএনপি বগুড়া-২ আসন মান্নার জন্য ছাড় দেয়। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মান্না তার দলীয় প্রতীক কেটলি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর