জিয়া বা চন্দ্রিমা উদ্যানের অজানা গল্প

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০৭:২৩ পিএম

রাজধানী ঢাকার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান জিয়া বা চন্দ্রিমা উদ্যান। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র সংসদ ভবনের পাশে ৭৪ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে এ উদ্যানটি। মরহুম শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি এখানে অবস্থিত। সমাধিকে কেন্দ্র করে এখানে মাজার কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী এই মাজার দেখতে আসেন।

দর্শনার্থীদের কাছে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় স্থান। উদ্যানটি বন কেন্দ্রীক হওয়ায় এবং এর সাথেই জাতীয় সংসদ ভবন এবং লেক থাকায় সব ধরনের দর্শনার্থীদের কাছে অন্য উদ্যানের চেয়ে এটি অধিক জনপ্রিয়।

প্রথমে এই উদ্যানের নাম ছিল চন্দ্রিমা উদ্যান।বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে এখানে জিয়াউর রহমানের কবর থাকায় এই উদ্যানের নামকরণ করেন জিয়া উদ্যান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আবার এর নাম পরিবর্তন করে চন্দ্রিমা উদ্যান রাখেন। এভাবেই ক্ষমতা পালাবদলের সঙ্গে এই উদ্যানের নাম পরিবর্তন হয়ে আসছে। বর্তমানে এই উদ্যানের নাম চন্দ্রিমা উদ্যান।

দীর্ঘদিন একে গবাদিপশুর খামার, খাস জমি এবং চাষাবাদ জমি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ১৯৮১ সালে এই স্থানে মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সমাধিস্থ করা হয় এবং এলাকাটিকে পরিষ্কার করে দর্শণার্থীদের জন্য মনোরম স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হয়।

এই ৭৪ একর জমির উপর উদ্যানটির নিরাপত্তা ও অনৈতিক কাজ ঠেকানোর জন্য মাত্র ২২জন আনসার সদস্য রয়েছেন। এদের সঙ্গে কিছু পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। তবে তারা মূলত গণভবনের নিরাপত্তা দিকেই বেশি নজর দেন।

এই জিয়া উদ্যান জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্র হলেও। এখানে সন্ধ্যা নামলেই অবাধে চলে অনৈতিক কর্মকান্ড। বসে নারীর দেহ বিক্রির হাট। অল্প টাকায় এখানে মেলে নারীর দেহ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষও এখানে আসে নারীর দেহ উপভোগ করতে।

আর এসব চলে ওইসব আনসার সদস্যদের চেখের সামনেই। সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে এরা এই উদ্যানের পবিত্রতা নষ্ট করছে। আর অর্থ না পেলে অনেককে আবার বিভিন্নভাবে ফাঁসিয়ে তাদের মোবাইল মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেন এই আনসার সদস্যরা।

বাংলাদেশের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ধরনের অনৈতক কর্মকান্ড কতটা নিরাপদ তাও ভেবে দেখা উচিত। কারণ এর তিন পাশেই রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান একপাশে জাতীয় সংসদ ভবন, আরেক পাশে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র আর অন্য পাশে গণভবন। তাই এই স্থানটিকে গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে মনে করছেন এখানে আগত দর্শনার্থীরা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: