ময়মনসিংহের অধিকাংশ আলেমই চাইলেন অসমাপ্ত বক্তব্যের সুরাহা

বৃহত্তর ময়মনসিংহের কওমী মাদরাসা নিয়ে গঠিত তানযীম বোর্ডের ডাকে উলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে যোগ দেয়া অধিকাংশ আলেম, মুহতামিমের মুখেই মাওলানা আনোয়ার শাহ’র বেফাক উলামা সম্মেলনের অসমাপ্ত বক্তব্যের বিষয়টি উঠে এসেছে।
রোববার কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়া মিলনায়তনে মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহ’র সভাপতিত্বে শুরু হয় উলামা-মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠান। সম্মেলনে যোগদেন ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও সিলেটের আলেমরা। যাদের অধিকাংশই মাওলানা আনোয়ার শাহ’কে নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। গাজীপুরের মাওলানা আশেক মোস্তফা বলেন, বেফাকে আল্লামা আনোয়ার শাহ’র মত মানুষের মূল্য নেই এটি খুবই দু:খজনক। তিনি বেফাকের গুরুতপুণ ফায়সালার কাজে মায়নমসিংহের আলেমদের ডাকা হয় না বলেও অভিযোগ করেন। অনেক বক্তাই উপস্থাপকের নিশেধ সত্ত্বেও বেফাকের বিগতদিনের হিসাব নিকাশের বিষয় উল্লেখ করেছেন। কয়েকজন আলেমের নাম উল্লেখ করে কিশোরগঞ্জ এসে আনোয়ার শাহ‘র কাছে ক্ষমা চাওয়ারও আহবান জানান।
ময়মনসিংহ ভারারা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশে ১০ জন আলেমকে নক্কত্র হিসাবে গন্য করা হলে শাহ সাহেব হবেন একজন। তার মত ব্যক্তিকে অপমান করা হয়েছে, এটা সহনীয় নয়। স্বীকৃতি বিষয়ে তিনি বলেন, যদি কল্যাণকর হয় তাহলে আল্লাহ যেন আমাদের সনদকে স্বীকৃতি দেন।
সিলেটের মাওলানা আবুল হাসান বলেন, বেফাক আমাদের সম্পদ একে ভাঙ্গার চেষ্টা করবেন না। আমরা বেফাকে ছিলাম আছি ও থাকবো। তিনি বলেন, এক্যবদ্ধ হয়ে পরামর্শের মাধ্যমে স্বীকৃতি নেওয়া হোক।
ইত্তেফাকুল ওলামা মোমেনশাহী’র সেক্রেটারি জামিয়া আরাবিয়া মিফতাহুল উলুম মাদরাসার শাইখুল হাদিস মাওলানা আহমদ আলী বলেন, আজরাবাদের সম্মেলনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার যদি না করা হয় তাহলে একই আচরণের শিকার হবে অন্যজন। দ্রুত বিষয়টি সুরাহা হোক।
মাওলানা মুখলেসুর রহমান কাসেমী বলেন, এই স্বীকৃতির জন্য আল্লামা শাইখুল হাদিস আজিজুল হক রহ. মুক্তাঙ্গনে পাঁচদিন অবস্থান করেনছেন। আমরাও দারুল উলুম দেওবন্দের উসূলে হাশতেগানা অনুযায়ী সরকার নিয়ন্ত্রণমুক্ত স্বীকৃতি চাই।
শেরপুর তেরাবাজার মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতিকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে আমরা শেরপুরবাসী এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
কিশোরগঞ্জ জামিয়া নূরানিয়া তারাপাশা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবুল বাশার বলেন, সরকার কর্তৃক স্বীকৃতিতে যেন কওমির মাদরাসার ঐতিহ্য নষ্ট না হয়।
খাগডহর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, বেফাককে রাজনীতিমুক্ত করতে হবে এবং আরজাবাদ মাদরাসার ঘটনার ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে তানযীমের সেক্রেটারি মাওলানা শফিকুর রহমান জালালাবাদী’র উপস্থাপনায় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের গহরপুর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু, ময়মনসিংহ ভারেরা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আমিনুল হক, কমলপুর মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা শওকত আলী, ইসলামপুর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নুরুল আলম, নেত্রকোনা থেকে মাওলানা শফিউল্লাহ, মাওলানা আসাদুর রহমান ও মাওলানা মুনতাসির আল মামুন, বেতিয়ার কান্দি মাদরাসার মাওলানা উবায়দুল্লাহ আনোয়ার, শেরপুর থেকে মাওলানা সিদ্দিক, বাজিতপুরের মাওলানা আ. সাত্তার , পাকুন্দিয়ার মুফতি মোহাম্নাদ আলী, নূরে আলম, ফয়জুদ্দীন প্রমুখ। এ সময় আরোও অনেক আলেম-উলামারা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: