ঝুঁকি শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপার, মাথাব্যথা নেই প্রশাসনের
“স্পিড ব্রেকার থাকার পরেও প্রান্তিকে রাস্তা পারাপার বেশ ঝুঁকির। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওভার ব্রিজ নির্মাণের সামর্থ্যও নজরে পড়ছে না। তার ওপর আবার স্পিডব্রেকার তুলে দিয়েছে। আমি নিজেও এর ভুক্তভোগী, মরতে মরতে বেঁচে গেছি” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসইবুকে এমনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত মুন্না। এভাবে শুধু ইয়াসির আরাফাত নন, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের অভিব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখে প্রকাশ করেছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফরে এসে রাজধানী ঢাকার সাভার, নবীনগরে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে আগমন উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টের মোট ২২টি গতি প্রতিরোধক অর্থ্যাৎ স্পিড ব্রেকার সরিয়ে ফেলা হয়। যার কারণে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে নানারকম আলোচনা-সমালোচনা। চীনা প্রেসিডেন্ট চলে গেলেও কেন এখন পর্যন্ত গতিরোধকগুলো বসানো হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সবত্র। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। দাবি তুলেছেন অতি দ্রুত স্পিড ব্রেকারগুলো আগের জায়গায় বসানোর জন্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আগমন উপলক্ষে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডেইরি গেট থেকে প্রান্তিকগেট পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টের স্পিড ব্রেকার সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু চীনা প্রেসিডেন্ট সফর শেষে চলে গেলেও এখন পর্যন্ত স্পিড ব্রেকারগুলো পুনঃস্থাপনের করা হয় নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীদের প্রতিনিয়ত জীবনের ঝঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে। যেকোন সময় ঝরে যেতে পারে একটি তাজা প্রাণ, হারিয়ে যেতে পারে এক বা একাধিক মেধাবীর মুখ। এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।
এ মহাসড়কের উপর দিয়ে দূরপাল্লার অনেক গাড়ি এবং নাইটকোচ ডে কোচগুলো দ্রুত চলাচল করে যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক। যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘনা। এমনিতেই প্রান্তিক গেটের সামনে কোন ওভারব্রীজ নেই তার ওপর স্পিড ব্রেকার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। আমরা অনতিবিলম্বে স্পিড ব্রেকারগুলো পুনরায় বসানো এবং প্রান্তিক গেটের সামনে রাস্তা পারাপারের জন্য একটি ওভার ব্রীজ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “স্পীড ব্রেকার বসানোর বিষয়টি আমরা সড়ক ও জনপদ বিভাগকে অবহিত করেছি। তারা অতিদ্রুত পুনরায় গতিরোধক গুলো স্থাপন করার কথা জানিয়েছেন।”
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: