বাবা-মেয়ের আড়ালে যৌন সম্পর্ক : বেরোলো আরো ভয়ানক তথ্য!

প্রকাশিত: ২৯ আগষ্ট ২০১৭, ০১:১৬ পিএম

একদিকে সিনেমার হিরো, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে 'ইনসান'-এর মর্যাদা দেওয়া, রাজনৈতিক ক্ষমতা আর পেশীশক্তি - এই সব কিছুর মিশেলেই প্রায় আড়াই দশক ধরে গড়ে উঠেছে গুরমিত রাম রহিম সিং-এর ভক্তকুল।

দুই নারী ভক্ত(সাধ্বী)’র ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম। বিহার রাজ্যের ডেরা সাচ্চা সওদার আশ্রমের গোপন ডেরায় ‘রাসলীলা’ চালাতেন তিনি।

কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, দামি দামি গাড়ি, সিনেমার হিরো, বিদেশ সফর আমোদ-প্রমোদের কোনো ঘাটতি ছিল না তার জীবনে। কিন্তু গত ২ দিনে বদলে গেছে অনেক কিছু। কারাগারে গিয়ে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ভারতীয় বিতর্কিত এই ধর্মগুরু নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।

বাবার ম’য়ের ‘টান’ প্রবল৷ ম’ মানে মেয়ে৷ মেয়েকে(দের) ছাড়া এক মুহুর্ত থাকতে পারেন না ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং৷ সিরসা ছেড়ে বাবার ঠিকানা এখন রোহতকের শ্রীঘর৷ কিন্তু এত কিছুর পরেও তার মেয়ের ‘টান’ যে কমছে না৷ তাই শ্রীঘরে সঙ্গিনী হিসাবে নিজের পালিতকন্যাকে চেয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবদার করে বসেছেন রাম রহিম৷

&dquote;&dquote;পালিত মেয়েকে ছাড়া আর কেউ তার মাইগ্রেন আর পিঠ ব্যথার দেখাশোনা করতে পারে না। তাই ধর্ষণ মামলায় সাজা ঘোষণা হওয়ার পরে পালিত মেয়ে হানিপ্রীতকে সঙ্গে নিয়েই জেলে থাকার আবদার করেছিলেন ভণ্ড রাম রহিম।

আদালতে অবশ্য জানিয়েছিল, এই অনুমতি রাজ্য সরকার এবং জেল কর্তৃপক্ষই দিতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেই অনুমতি মেলেনি। তবু, জেলে ঢোকার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বাবার সঙ্গ ছাড়েনি হানিপ্রীত।

ভারতীয় গণমাধ্যম এবেলার সূত্রের খবর, জেলে ঢোকার আগে সার্কিট হাউজে দু’জনে একটি ঘরে ঘণ্টা আড়াই নিভৃতে কাটায় বলেও একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। এহেন হানিপ্রীত ডেরা সচ্চা সওদার ভার নেওয়ার অন্যতম দাবিদারও বটে।

প্রকাশ্যে সবাই জানেন, হানিপ্রীত বাবা রাম রহিমের পালিত মেয়ে। কিন্তু আড়ালে অনেকেই বলেন, বাবা-মেয়ের সম্পর্ক নেহাতই লোক দেখানো।

এমনকী, ডেরা সচ্চা সওদার আশ্রমে যে সাধ্বীরা বাবার লালসার শিকার হয়েছেন, তাঁদেরও অভিযোগ, বাবার সঙ্গে হানিপ্রীতকে একাধিকবার ঘনিষ্ঠ যৌন অবস্থায় দেখেছেন তাঁরা।

এই হানিপ্রীতের আসল নাম প্রিয়ঙ্কা তানেজা। বিশ্বাস গুপ্তা নামে ডেরার এক অনুগামীর প্রাক্তন স্ত্রী হানিপ্রীত। বিশ্বাসের সঙ্গে হানিপ্রীতের বিবাহবিচ্ছেদের কারণও বাবার সঙ্গে হানিপ্রীতের ঘনিষ্ঠতা।

&dquote;&dquote;হানিপ্রীতের প্রাক্তন শ্বশুর মহেন্দ্রপাল গুপ্ত অতীতে অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই বিশ্বাসের সঙ্গে হানিপ্রীতকে একদিনও থাকতে দেয়নি রাম রহিম।

তাঁদের অভিযোগ, হানিপ্রীতের সঙ্গে নিজের অবৈধ সম্পর্ক আরও সহজে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেই উদ্যোগ নিয়ে বিশ্বাসের সঙ্গে তার বিয়ে দিয়েছিল রাম রহিম। হানিপ্রীতের প্রাক্তন শ্বশুরের অভিযোগ, রাম রহিমের ক্ষমতা, আর্থিক অবস্থা এবং জনপ্রিয়তা দেখেই তার প্রতি আকর্ষিত হয়ে পড়ে হানিপ্রীত।

হানিপ্রীতের প্রাক্তন স্বামী এবং তাঁর বাবা এখন ঘন ঘন মোবাইল নম্বর বদলে ফেলেন। যদিও, ২০১১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের পরে রাম রহিমের সঙ্গে হানিপ্রীতের সম্পর্ক নিয়ে সরব হওয়ার পরে বাবার অনুগামীরা ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। এর পরেই ডেরার একটি অনুষ্ঠানে তাঁরা এসে স্বীকার করেন, রাম রহিমের বিরোধী গোষ্ঠীর কথামতোই হানিপ্রীতের সঙ্গে বাবার অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা।

তা সত্ত্বেও অবশ্য রাম রহিমের সঙ্গে হানিপ্রীতের আসল সম্পর্ক নিয়ে জল্পনার অবসান হয়নি। হানিপ্রীত নিজেই অবশ্য সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছিল। ‘বাবা-মেয়ের’ সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক যে নেহাত নিন্দুকদের অভিযোগ নয়, তা এবছর রোজ ডে-তে নিজের পালক পিতার উদ্দেশে করা একটি টুইটেই যেন স্পষ্ট করে দেয় হানিপ্রীত নিজেই।

&dquote;&dquote;সেখানে রাম রহিমের উদ্দেশে সে লেখে, ‘‘আপনি লাল গোলাপের থেকেও সুন্দর, আমি মনপ্রাণ দিয়ে আপনার সব স্টাইল এবং ভঙ্গিমাগুলি ভালবাসি।’’ শুধু তাই নয়, রোম্যান্টিক মিউজিকের সঙ্গে বানানো একটি ভিডিও-তে সে লেখে, ‘‘তুমি আমার জীবনটাকে ফুলের মতোই ভরিয়ে দিয়েছো।’’

উল্লেখ্য, দুই নারী ভক্ত(সাধ্বী)’র ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম। বিহার রাজ্যের ডেরা সাচ্চা সওদার আশ্রমের গোপন ডেরায় ‘রাসলীলা’ চালাতেন তিনি।

ডেরা সাচ্চা সওদার প্রধান আধ্যাত্মিক গুরু গুরমিত রাম রহিম সিং নিজেকে ‘সব সম্প্রদায়ের ঈশ্বর’ বলে ঘোষণা করে৷ দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ২০০২ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়৷

সেই মামলায় রাম রহিম সিংকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত৷ ২৫ আগস্ট আদালত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করলে দুই রাজ্যজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছেন তার ভক্ত-অনুগামীরা।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: