যে ৩ শর্তে জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ১২:৩৫ পিএম

জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতির দুই মামলায় ৩ শর্তে জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলা দুটোয় খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুর্নীতির মামলা দুটোয় জামিন চাইতে বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এর আগে সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশে রওয়ানা হন তিনি।

প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া লন্ডনে থাকা অবস্থায় ঢাকা ও কুমিল্লার নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তিনমাস লন্ডনে অবস্থানের পর বুধবার বিকেলে দেশে ফিরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

যে তিন শর্তে জামিন পেলেন খালেদা- বিদেশ গেলে আদালতকে জানাতে হবে, এক লাখ টাকার মুচলেকা ও দুইজন জামিনদার।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

অপরদিকে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দু'বছর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক।

এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

বিডি২৪লাইভ/এমএম/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: