লাউ বিক্রি করে লাখপতি!

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৭, ০৮:২৫ পিএম

পাবনার ঈশ্বরদী শহরের অরনকোলা এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী গ্রাম্য বধু রোকেয়া আক্তার চার দেয়ালের গন্ডির মধ্যে যার নিরিবিলি জীবন-যাপন করার কথা-তিনি আজ রীতিমত একজন সমাজ উন্নয়ন কর্মীর দায়িত্ব পালন করছেন। নিবিড় সবজি, ফলমূল ও পোল্ট্রি খামার করে এলাকার নারীদের কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ করেছেন। রোকেয়া আক্তার পরিশ্রম, ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়, সাহস ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে খামার করে তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা ও সফল খামারি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। রোকেয়া আক্তার এলাকার নারীদের একত্রিত করে তাদের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।  

রোকেয়া আক্তার জানান, বিয়ের আগে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বানিজ্যিক লেয়ার ফার্মে ম্যানেজমেন্টে কর্মরত ছিলেন। স্বামী কাজে বেরিয়ে গেলে একদম অলস বসে থাকা তার ভালো লাগতোনা। সংসারের অভাব দুর করতে ২০০৩ সালে বসত বাড়ির আঙ্গিনায় লেয়ার জাতের ১ হাজার মুরগি পালনের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে পথচলা শুরু করি। কৃষি ক্ষেত্রে নিত্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও সম্প্রসারণে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য জাপানী একটি সংস্থায় কৃষির উপর ১৮ মাসের প্রশিক্ষন নিয়েছি। প্রথম প্রথম স্বামী তার এহেন কর্মকান্ডে কিছুটা বিরক্ত হতেন। তিনি আরও বলেন, এবার তার খামারে সোয়া বিঘা জমিতে লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছ জুড়ে ঝুলে আছে শুধু লাউ আর লাউ। তিনি বলেন, খামারের উৎপাদিত লাউ ইতোমধ্যে দেড় লাখ টাকা বিক্রি করেছেন। এছাড়া এখনো গাছে অসংখ্য লাউ ঝুলে আছে। 

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রওশন জামাল বলেন, পরিশ্রম মানুষকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায় তার বাস্তব প্রমাণ হলো রোকেয়া খামারের স্বত্তাধিকারী কৃষাণী রোকেয়া আক্তার। কঠোর পরিশ্রম করে রোকেয়া আক্তার একজন মডেল খামারী হিসেবে ইতোমধ্যে ঈশ্বরদীতে পরিচিতি লাভ করেছেন। এবার কৃষাণী রোকেয়া আক্তারের খামারের জাংলায় প্রচুর পরিমাণে লাউ ধরেছে। বাজারে বিক্রি করে অনেক দামও পাচ্ছেন। পরিশ্রম, ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়, সাহস ও মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে রোকেয়া আক্তারের মতো সকলেই এক সময় ক্রমান্বয়ে উপরে উঠতে থাকবে। 

বিডি২৪লাইভ/এস এ 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: