বিয়ের আগেই মা হতে চলছে স্কুলছাত্রী : শুদ্ধিকরণে গণভোজ!

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৭, ১১:৫৭ পিএম

স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ধর্ষণের জেরে গর্ভবতী হওয়া ক্লাস নাইনের ছাত্রীর পরিবারকে সামাজিক বয়কট ভারতের ওড়িষার কোরাপুট জেলার গ্রামে।

চলতি মাসের গোড়ায় মেয়েটির বাবা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁর কন্যাকে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন। আদিবাসী আবাসিক স্কুলের ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।

ডাক্তাররা মেয়েটি পাঁচ মাসের গর্ভবতী বলে জানিয়ে গর্ভপাতের প্রশ্ন নাকচ করে দেন। এতে বিপাকে পড়েছে মেয়েটির পরিবার। গ্রামবাসীরা তাদের উত্যক্ত করে তুলেছে।

গ্রামবাসীদের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, তাদের দাবি বিয়ের আগেই মেয়েটি মা হতে চলছে। তাই ওর শুদ্ধিকরণ করতে হবে। সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হল, গোটা গ্রামের ভোজনের ব্যবস্থা করতে হবে মেয়েটির পরিবারকে!

মেয়েটির বাবা গভীর বিপদে পড়েছেন। বলেছেন, দিনমজুরি করে খাই। গোটা গ্রামকে খাওয়াতে গেলে অন্তত ৩০ হাজার টাকা চাই। এত টাকা কোথা থেকে পাব? তাছাড়া মেয়ের নিয়মিত চেক আপের জন্য তো টাকার প্রয়োজন। জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও সাহায্য মেলেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।

কোরাপুটের জেলা উন্নয়ন অফিসার জগন্নাথ সোরেন জানিয়েছেন, মেয়েটিকে ধর্ষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে যে কমিটি, তারা এতে প্রধান শিক্ষক ছাড়াও হোস্টেলের মেট্রনও জড়িত বলে জেনেছে।

তিনি এও জানান, বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ঘটনাটিকে প্রধান শিক্ষকের ‘অবৈধ সম্পর্ক’ বলেই মনে করছে। যৌন নিগ্রহ হয়নি বলে তাদের মত। ফলে আর্থিক সাহায্যের সুপারিশ করা যাচ্ছে না। জেলা কালেক্টর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

ওড়িষার নির্যাতিতা ক্ষতিপূরণ স্কিম, ২০১৭ অনুসারে ধর্ষিতার ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা।

ওড়িষায় মহিলাদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা গত কয়েক বছরে বেড়েছে। জাতীয় অপরাধ রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান, ২০১৪-য় রাজ্যে ধর্ষণের সংখ্যা ছিল ১৯৭৮। ২০১৫-য় তা বেড়ে হয় ২২৫১টি, ২০১৬-য় ছিল ২১৪৪টি।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: