উত্তরা গণভবনের গাছ কাটা: ফেঁসে যাচ্ছেন প্রকৌশলীসহ ৬

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৭, ১০:১৬ পিএম

অবশেষে নাটোরের উত্তরা গণভবনের শতবর্ষী তাজা গাছ কাটার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ফেঁসে যাচ্ছেন গণপুর্ত নিবার্হী প্রকৌশলী মশিউর রহমান আকন্দ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান, এসও কামরুজ্জামান, উত্তরা গণভবনের কেয়ারটেকার আবুল কাশেম ও আব্দুস সবুর তালুকদার এবং ঠিকাদার সোহেল ফয়সাল। গঠিত ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি সোমবার রাতে জেলা প্রশাসক শাহিনা কাতুনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন। ওই প্রতিবেদনে নিয়ম বর্হিভুতভাবে  নিলামের মাধ্যমে অভিযুক্ত ঠিকাদার সোহেল ফয়সাল শতবর্ষী ১৭টি তাজা গাছ ও ৪৩টি তাজা গাছের ডালপালা কেটে নেন। প্রতিবেদনে  ওই সব গাছ ও ডালপালার মুল্য নির্ধারন করা হয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সোমবার রাতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে দাবী করা হয়, গাছ কাটা ও মুল্য নির্ধারনের ক্ষেত্রে বন বিভাগের কোন অনিয়মের প্রমান পাওয়া যায়নি। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রাজ্জাকুল ইসলাম গাছ কাটার সাথে অভিযুক্তরা জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গাছ কাটার বিষয়ে গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন অনুমোদন নেওয়া হয়নি। ঠিকাদারের মাধ্যমে টেন্ডার বর্হিভুত ৫টি আম ,কাঠ বাদাম,নারিকেল ও অজ্ঞাত ঔষধি গাছ সহ ১৪টি  এবং নিলামের মাধমে তিনটি তাজা গাছ কাটা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন জানান, তদন্ত কমিটির দেওয়া সুপারিশের আলোকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। সরকারী নিদের্শনা পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য, উত্তরা গণভবনের চারপাশের লেকের ধারে শতবছরের অন্তত ৩০০ প্রজাতির আমগাছ রয়েছে। এছাড়া মেহগনি, নারিকেল, কাঠ বাদামসহ আরো পাঁচ শতাধিক গাছ রয়েছে।  সম্প্রতি ঝড়ে এবং মরে যাওয়া দুটি আম, একটি মেহগনিসহ বেশ কিছু গাছের ডালপালার ইজারা আহ্বান করে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ। বনবিভাগের কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহর দেওয়া মুল্য নির্ধারণ অনুসারে মাত্র ১৮ হাজার ৪০০ টাকার টেন্ডারের বিপরীতে ১৭টি গাছ ও কিছু গাছের ডাল পালা কাটা হলে তোলপাড় শুরু হয়। গাছ কাটার বিষয়টি নজরে আসলে ১৭ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রাজ্জাকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শামীম ভুইয়া ও এনডিসি অনিন্দ মন্ডল।  

এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় নাটোর গণপুর্ত বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মশিউর রহমান আকন্দ জানান, প্রতিবেদনের বিষয়টি তার জানা নেই । তবে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

বিডি২৪লাইভ/এস এ  

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: