বিজয় দিবসে পুলিশের উপহার

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৭:১৯ পিএম

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক শেখ নাজমুল আলমের সৌজন্যে ঢাকা জেলা এবং মানিকগঞ্জ জেলার কয়েকশত পরিবার এক অন্যরকমভাবে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের সুযোগ পেলেন।

ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বামরাবণ আদর্শ গ্রাম, মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের মোকদমপাড়া আদর্শ গ্রাম, বাছট এবং বৈলতলা গ্রামের দূস্থদের মাঝে কয়েকশত উন্নতমানের শীতের কম্বল উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশের এই উর্ধতন কর্মকর্তা।

অসহায় এই মানুষগুলো এত বছর কনকনে শীতে রাতে ভালোভাবে ঘুমাতেই পারতেন না। তীব্র অভাবের কারণে অতি দরিদ্র এই মানুষগুলো তাদের পরিবারের শিশুদের জন্যও গরম লেপের ব্যাবস্থা করতে না পারায় নিষ্পাপ শিশুগুলো শীতে দারুন কষ্ট করছিলো বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাছট বৈলতলা মোকদমপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা জয়নাল আবেদীন।

একথা শুনে মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ্ মিজানের কাছে কয়েকশ দামি শীতের কম্বল এলাকাবাসীর জন্য বিজয় দিবসের উপহার হিসেবে প্রেরণ করেন এ্যাডিশনাল ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম।

শনিবার (১৬) বাছট বৈলতলা মোকদমপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং বাছট বৈলতলা পল্লী মঙ্গল সমিতির যৌথ উদ্যোগে বাছট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা এবং দরিদ্রদের মাঝে উপহার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিলো।

অনুষ্ঠানে সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পিন্টু, অবসরপ্রাপ্ত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আলহাজ মোশারফ হোসেন এবং এলাকার গন্যমান্য মুরুব্বিগণ, ছাত্রযুবক কিশোর কিশোরী, শিশু শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মাত্র একটি কম্বল পেয়েই রামরাবণ আদর্শ গ্রামের বিধবা কামিনী রায় আনন্দঅশ্রু বিসর্জন করতে করতে বলেন," তীব্র শীতে নদীর পাশে কাঁচা ঘরে রাতে ঘুমাতে না পেরে রাত জেগে বসে থাকতে হতো সকালের রোদের আশায়। কিন্তু রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে না পারায় দিনে মাটি কাটার কাজ করতে যেয়ে শরীর খুব দূর্বল লাগতো।

এলাকার অনেক ধনী লোকের কাছে একটা পুরাতন, ছেড়া শীতের লেপ চেয়েও পাইনি। তাই আজ নতুন কম্বলটি পেয়ে আনন্দে কাঁদছি।

বৈলতলা গ্রামের জালাল মিয়ার স্ত্রী বিমলা বেগম নতুন কম্বল পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বলেন," আমার স্বামী অসুস্থতার কারণে কাজ করতে পারেন না। তাই শীতে অনেক কষ্ট হলেও টাকার অভাবে কম্বল কিনতে পারি নাই। ফলে আমার আড়াই বছর বয়সের ছোট বাচ্চাটার রাতে শীতে খুবই কষ্ট হচ্ছিলো। আজকে কম্বলটি পেয়ে বহুদিনের কষ্টটি দূর হলো।

পবিত্র কোরআন এবং পবিত্র গীতা পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া বিজয় দিবসের এই অনুষ্ঠানে শিশুদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ছাত্রযুবকদের অংশগ্রহণে ভলিবল খেলা এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

 

বিডি২৪লাইভ/এমআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: