শেষ রক্ষা হল না বিদ্যালয়টির!
শামসুজ্জোহা বাবু, রাজশাহী প্রতিনিধি: দুই বছর পূর্বে বাঘা উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছিল চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। দেখতে দেখতে এই স্কুলটি এ বছর ভাঙনের মুখে নদীতে বিলিন হতে চলেছে। ইতোমধ্যে চারটি পিলার চলে গেছে পদ্মার গর্ভে। ফলে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম (পাটদান)।
সোমবার (৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টায় স্কুলসহ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিমা খাতুন।
স্থানীয় লোকজন জানান, ১৯৭৮ সালে স্থাপিত চকরাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৪ বছরে ভাঙনের কবলে পড়েছে দুইবার। এবারও নদী ভাঙনের কারণে ঠিক একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে নতুন করে যোগ হয়েছে এ অঞ্চলের একমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চকরাজাপুর বাজার। গত ৫ দিন পূর্বে বিদ্যালয়ের টিনসেট (কমনরুম)টি সরিয়ে নেওয়া হয়। অনেকেই ধারনা করেছিল, ভাঙন কমে গেলে এবারের মতো রক্ষা পাবে ইট দিয়ে তৈরী করা দামি ভবনটি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটিও আর রক্ষা করা গেলনা। ইতোমধ্যে দেখতে-দেখতে নতুন ভবনের চারটি পিলার চলে গেছে নদীর গর্ভে। এখন খুব দ্রুত এটি সরিয়ে ফেলা প্রয়োজন। এ কারণে সোমবার স্কুল পরিদর্শন করতে এসেছিলেন রাজশাহী জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোসা: নাসিমা খাতুন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা দিল আফরোজ রুমি, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুর রহমান, চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আজম ও বাঘা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামানসহ আরো অনেকে।
স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ চরাঞ্চলবাসীদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক (অতিরিক্ত) বলেন , নদী তীরবর্তী এলাকায় ইট দিয়ে ভবন নির্মাণ না করে ইস্টিল (লোহা) সামগ্রী দিয়ে টিন সেড ভবন করা দরকার। যাতে করে বিপদ মুহুর্তে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা যায়।
তিনি এই ভবনে জানালা-দরজাসহ কি কি সামগ্রী রয়েছে তার একটি তালিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেয়ার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন। এবং যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর (মন্ত্রনালয়ে) প্রতিবেদন পাঠানোর মাধ্যমে বিদ্যালয়টি অন্যত্র সরিয়ে ফেলাসহ নতুন ভবন নির্মাণের আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, এ বছর নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে বাঘা উপজেলার নদী তীরবর্তী ৯টি গ্রামের ১০ কিলোমিটার সীমানায় ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। এই ভাঙনের ফলে গত এক সপ্তাহে প্রায় দেড় হাজার বিঘা ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে সিংহ ভাগ ক্ষতি হয়েছে- আম, খেঁজুর ও পিয়ারা বাগানসহ ফসলি জমির।
নদী তীরবর্তী লোকজন জানান, যথাযথ উদ্যোগের অভাবে অত্র এলাকার প্রায় ৪ কিঃ মিটার বাধ অরক্ষিত রয়েছে। গত ৭ বছরে পদ্মার ভাঙনে এইসব এলাকার প্রায় ৫’শ বাড়িসহ ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার এবং বিজিবি ক্যাম্পসহ কয়েক হাজার বিঘা আবাদি-অনাবাদি জমি চলে গেছে পদ্মার করাল গ্রাসে। এ ছাড়াও ভাঙনে গৃহহারা হয়েছে ৫-৬’শ পরিবার।
বিডি২৪লাইভ/এমআরএম
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: