ফেসবুক বাঁচাতে কোন পথে জাকারবার্গ ?

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০১৮, ০২:৫৬ পিএম

অনলাইন ডেস্ক: ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ফেসবুক ছিল পরিবার ও বন্ধুদের জন্য। ব্যবহারকারীরা তাদের বন্ধুদ বা পরিবারের নানা আনন্দ-বেদনা ভাগ করে নেয়া হতো বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকের সংজ্ঞা বদলে গেছে। এখন ফেসবুকে বিজ্ঞাপন, ব্র্যান্ড, ব্যবসায়িক পোস্টে নিউজফিড ভরে গেছে। জাকারবার্গ জানিয়েছেন, তিনি তার কমিউনিটির গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়ায় জেনেছেন ব্যবসা, ব্র্যান্ড এবং মিডিয়ার পোস্টগুলো বন্ধু ও পরিবারের জন্য ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো নষ্ট করছে। পাবলিক কনটেন্টের কারণে এখন ফেসবুকের বেশিরভাগ গ্রাহক বিরক্ত। পোস্টে জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি আশা করি, ফেসবুকে আপনি যে সময় ব্যয় করবেন তা আরও মূল্যবান হবে। আর আমরা যদি সঠিক কাজটি করে থাকি, আমি বিশ্বাস করি, এটি দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের সমাজ আর ব্যবসার জন্য ভালো হবে।’

তবে জাকারবার্গের এই ঘোষনা কার জন্য সুখকর আর কার জন্য দুঃখের তা এরই মধ্যে স্পস্ট হয়ে উঠছে। আতঙ্কে পরে গেছে ফেসবুক নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এটা পরিস্কার যে ফেসবুক তার স্বার্থ ব্যাতিত কোন কিছুই করবেনা। এ কারনে নিউজ ফিডে কোন সংবাদ মাধ্যম বা প্রতিষ্ঠানের পোষ্ট দেখাতে পয়সা খরচ করতে হবে।

এ কারনে সুবিধা পাবে মূল ধারার গণমাধ্যম সহ সত্যিকার অর্থে ব্রান্ডগুলো। যদিও ইতিমধ্যে ফেসবুকের এই ঘোষনার সাথে সাথে তাদের শেয়ার মার্কেটে দর পতন শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার ফেসবুকের শেয়ার মার্কেটে ধস নেমেছে। নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠানটির স্টক কমে গেছে শতকরা প্রায় ৪ শতাংশ, ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস সূচকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, এই এক দিনে জাকারবার্গের সম্পদ কমে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।

এখন দেখার বিষয় ফেসবুক আসলে কি চায় ফেসবুক বাঁচাতে কোন পথে হাটবেন প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ। 

অনলাইন গণমাধ্যমগুলোর জন্য ধাক্কা: ফেসবুকের এই ঘোষনার পরপরই একটা আতংক কাজ করছে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর মধ্যে। বিগত কয়েকবছর ধরেই অনলাইনের এই পোর্টালগুলোর পাঠকের মূল উৎসই ছিল ফেসবুক। ফেসবুকের এমন সিন্ধান্তে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে অনলাইন গণমাধ্যম। তবে ফেসবুক চালুর অনেক আগে থেকেই অনলাইন গণমাধ্যম চালু ছিল। সেক্ষেত্রে ধাক্কাটা খাবে একমাত্র ব্রান্ডহীন ফেসবুক নির্ভর অনলাইন পোর্টালগুলো। এতে করে পাঠকরাও বিভ্রান্ত নিউজ হতে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: