দাদার সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে!

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০১৮, ০৮:১১ পিএম

‘অপরাধ’ ছিল নিজের জ্যাঠতুতো দাদার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া। আর সেই ‘অপরাধে’ প্রতিনিয়তই জুটতো অপমান, গঞ্জনা, মারধর। শেষ পর্যন্ত অপমান সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিল ১৪ বছরের কিশোরি। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল সে। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এবেলা।

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির নামালডিহায় নিজের জ্যাঠতুতো দাদা গৌরাঙ্গের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল ওই গ্রামেরই মেয়ে সরস্বতী মান্না। কিন্তু তাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল পরিবারের। গ্রামে লোকজন বিষয়টি কেমন ভাবে নেবে, সেই ভয়ে দুজনকেই সাবধান করে দেয় তাদের অভিভাবকেরা। 

কিন্তু পরিবারের বাধা মানতে পারেনি ওই যুগল। ভাইবোনের এমন সম্পর্ক সমাজ পরিবার কেউ মানবে না একপ্রকার বুঝেই গত বুধবার তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরের দিন একটি মন্দিরে গিয়ে মালাবদল করে বিয়ে করে ওই যুগল।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর প্রেমিক যুগলের সন্ধান পায় তাদের পরিবার। সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে শনিবার তাদের বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু ঘরে ফেরার পর রুদ্রমূর্তি ধারণ করে তাদের অভিভাবকেরা। অভিযোগ, মারধর করে গৌরাঙ্গকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়ি থেকে। শাঁখা ভেঙে, সিঁদুর মুছিয়ে বাড়িতেই আটকে রেখে দেওয়া হয় সরস্বতীকে। 

এর পরেই কার্যত একঘরে হয়ে যায় সরস্বতী। প্রতিনিয়ত পরিবারের লোকেরা তাকে অপমান করত বলে খবর। এর পরেই চরম সিদ্ধান্ত নেয় সে। গলায় ওড়নার ফাঁস জড়িয়ে আত্মঘাতী হয় সরস্বতী।

ঘটনার পরেই জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নামালডিহা এলাকায়। তবে ওই নাবালিকার আত্মহত্যার পরেই মুখে কুলুপ এঁটেছে তাঁর পরিবারের লোকেরা।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: