ছাত্রলীগকে ছাত্রদলের হুশিয়ারি!

প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৪:৫২ পিএম

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা নিয়ে ছাত্রলীগ কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা কিংবা অরাজকতা সৃষ্টি করলে তার সমোচিত জবাব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল।

ঢাকা কলেজ ছাত্রদল নেতাদের দাবি, এর আগেও বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা ও গুলি চালিয়েছে। এছাড়াও ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে যদি কোন ধরনের সংঘাতের চেষ্টা চালায় তাহলে রাজপথে তার সমোচিত জাবাব দিবে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল।

এ বিষয়ে ঢাকা কলেজ ছাত্র দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিন রেজা শিশির বলেন, বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছে। ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে যদি এ ধরনের কোন আচরণ করে তাহলে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল তার সমোচিত জবাব দিবে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরব থেকে এতিমদের জন্য আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। একই বছরের ৪ জুলাই মামলাটি গ্রহণ করেন আদালত। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন। প্রসিকিউশন পক্ষের অভিযোগ দাখিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি পক্ষ একাধিকবার উচ্চ আদালতে আসেন।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে চার্জ গঠন করেন। এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। একই বছরের ৭ মে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে এ দুটি মামলা বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি আদালত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মোট ৩৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় দুর্নীতির অভিযোগে করা। দুর্নীতির এ মামলাগুলো করা হয়েছে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। এ ছাড়া বাকি মামলাগুলো পুলিশের কাজে বাধা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ৯ বছরে করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: