ক্লাসে শিক্ষার্থীর বদলে ছাগল দেখলেন শিক্ষামন্ত্রী!

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৮:২৪ পিএম

শিক্ষামন্ত্রী ভেবেছিলেন, সারপ্রাইজ ভিজিট দিয়ে চমকে দেবেন সকলকে। কিন্তু গিয়ে নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে যান৷ ক্লাসে ঢুকে তো অবাক৷ ক্লাসরুমে ছাত্র-ছাত্রীদের দেখা নেই৷ খালি ঘরে ঘোরাঘুরি করছে ছাগল৷

ক্লাসরুমে ঢুকে তো মন্ত্রীর মাথা বন বন করে ঘুরতে থাকে৷ দেখেন দুটি খালি ক্লাসরুমে ঘোরাঘুরি করছে ছাগলের দল৷ পরে তিনি বলেন, সেই সময় ক্লাসে কোন ছাত্র ছিল না৷ অথচ স্কুল কতৃর্পক্ষ দাবি করে তাদের স্কুলে পর্যাপ্ত সংখ্যায় ছাত্র আছে৷ ছাত্র সংখ্যা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এদিন মন্ত্রী মশাই যান স্কুলে৷

পরে জানা যায়, এত ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ছাত্র সংখ্যা দেখানোর কারণ যাতে তারা বেশি করে সরকারি বরাদ্দ পায়৷ শিক্ষা দফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেশি করে মিড ডে মিল, বই খাতা, স্কুল ইউনিফর্ম ইত্যাদি পাওয়ার জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়েছে স্কুল৷

একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মণিপুরের শিক্ষমন্ত্রী টি রাধেশ্যাম সারপ্রাইজ ভিজিট করেন ইস্ফলের বেশ কয়েকটি সরকারি স্কুলে। আর সেখানেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বিড়াল।

পরিদর্শনের সময়ে শিক্ষামন্ত্রী টি রাধেশ্যাম ইস্ফলের খেলাখং-এর একটি স্কুলে যান। কিন্তু তিনি স্কুলে গিয়ে দেখেন কোনও পড়ুয়া উপস্থিত নেই। উল্টে ক্লাসরুমের মধ্যে অবাধে বিচরণ করে চলেছে বেশ কয়েকটি ছাগল। স্কুলের মধ্যে এহেন দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান টি রাধেশ্যাম।

শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষ তাকে ভুল তথ্য দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে। পাশাপাশি, ওই স্কুলের মিড-ডে মিল, ছাত্রদের মধ্যে বিতরণ করা ইউনিফর্ম, বই-খাতার হিসাবেও গরমিল রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে শুধু ওই স্কুলই নয়, বিজেপি-শাসিত এই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী আরও বেশ কয়েকটি স্কুলে পরিদর্শনে যান। কোনও স্কুলের হিসাব দেখাচ্ছে যে, উপস্থিত রয়েছে ৭২ জন শিক্ষার্থী। কিন্তু আসলে রয়েছে ১৬ জন ছাত্র-ছাত্রী।

অন্য একটি স্কুল, যেখানে দাবি করেছিল ৩২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, কিন্তু সেখানে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দেখেন মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী রয়েছে। বেশ কয়েকটি স্কুলে শিক্ষকরাও নিয়মিত আসেন না বলে জানতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী।

সূত্রের খবর, স্কুলগুলোর এমন হাল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রত্যেকটি স্কুলের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে ভারতের মণিপুরের শিক্ষা দফতর সূত্রে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: