৪৪ হাজার ট্যাব কিনবে ইসি
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কার আনা হচ্ছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য একটি করে ট্যাব কিনবে ইসি। সেক্ষেত্রে ৪৪ হাজার ভোটকেন্দ্রের জন্য এ ট্যাব কিনতে হবে।
সূত্র জানায়, ভোটকেন্দ্র দখল থেকে শুরু করে সকল অনিয়ম সর্বশেষ তথ্য নিতে এ ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি।
কর্মকর্তারা জানান, প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল ও যাচাই-বাছাই, ভোট গণনা, ফল প্রকাশ ও ভোটগ্রহণ এবং এসব কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জনবল ও নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত তথ্য প্রযুক্তিসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে এসব সংস্কার আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় এত দিন ধরে চলে আসা গতানুগতিক রীতিনীতি থাকবে না। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল হবে।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নির্বাচনে অবাধ প্রযুক্তির প্রয়োগ হবে। বদলে যাবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ। এমনকি নির্বাচনকে ঘিরে যেসব অভিযোগ ওঠে সেগুলোও শূন্যের কোঠায় নামবে। এ পরিবর্তনের ফলে নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষতাও রক্ষা হবে। দূরে বসেও সংসদীয় ৩০০ আসনের তাৎক্ষণিক ভোটগ্রহণের চিত্র প্রত্যক্ষ করা যাবে।
সংস্কারগুলো বাস্তবায়িত হলে নির্বাচনের কার্যক্রমে গতিশীলতা ফিরবে। একইভাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে যে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠে, এই ব্যবস্থা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। এসব সংস্কারের মধ্যে রয়েছে পোলিং পারসোনাল ম্যানেজমেন্ট, ক্যান্ডিডেট নমিনেশন প্রসেস অ্যান্ড ক্যান্ডিডেট সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট, অবজারভার ম্যানেজমেন্ট, পোল মনিটরিং রিস্ক অ্যানালাইসিস, সেন্টার ওয়াইজ রেজাল্ট কালেকশান অ্যান্ড রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট ও জিআইএস (জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম) অ্যাপলিকেশন ফর পোলিং সেন্টার লোকেশন ও নির্বাচনের ফল।
একইভাবে নির্বাচনকেন্দ্রিক অফিস ব্যবস্থাপনার চার ধাপেও পরিবর্তন আসছে। ধাপগুলো হলো হিউম্যান রির্সোস ম্যানেজমেন্ট, অ্যানোয়াল কনফিডেন্সসিয়াল রিপোর্ট (এসিআর) ম্যানেজমেন্ট, লিগ্যাল বা কেস ম্যানেজমেন্ট ও ইনভেনটরি ম্যানেজমেন্ট।
ইসি সূত্র মতে, নতুন এ নির্বাচন পরিচালনা পদ্ধতি চালু করতে ইসিকে নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় ছয় ও অফিস ব্যবস্থাপনায় চার ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। এর সঙ্গে সংযুক্ত হবে অত্যাধুনিক হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার। এ দুটিতে সম্ভাব্য ব্যয় হবে অর্ধকোটি টাকা। পাশাপাশি পদ্ধতিগত এই সংস্কারের কাজটি যথাযথ প্রয়োগ করতে সময় লাগবে ৪৬ সপ্তাহ; যা কয়েকটি ধাপে পাবে চূড়ান্ত রূপ। এর পেছনে কমিশনের ব্যয় হবে নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় ৪৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং অফিস ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ফেরাতে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।
বিডি২৪লাইভ/এএইচআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: