এখনও রহস্যে আবৃত অজানা সমাধি !

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০১৮, ০৪:৩৫ পিএম

যানজটের নগরী ঢাকা। ঢাকার অনেক অজানা স্থপনা চাকার আড়ালে বিলুপ্ত। জানা হয়ে উঠেনা এর ইতিহাস ঐতিহ্য। এমনই একটি স্থাপনা ‘অজানা সমাধি’।

যুগ যুগ ধরে স্থানীয়দের কাছে কৌতুহলের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকলেও এটি যে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরেরও অজানা বিষয় তা আরো ফুটে উঠে নাম করনের কারনে। মোহাম্মাদপুর বাশবাড়ীর প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত এই অজানা সমাধি।

প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর এবং ইন্টারনেটের সহযোগীতায় জানা যায় এর কিছু তথ্য। তথ্য অনুযায়ী এটি স্থাপিত হয় ১৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে। স্থাপনাটি মোঘল যুগের স্থাপত্যশৈলীর অদ্ভুত স্বকীয়তা প্রকাশ করে।

স্থাপনাটির কিছু দূরেই ঐতিহাসিক সাত গম্বুজ মসজিদ। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই অজানা সমাধিকে ঐতিহাসিক নিদর্শনের স্বীকৃতি দিয়েছে ঠিকই কিন্তু সমাধিটি দেখাশোনা করার যেন কেউ নেই! চারপাশে দেওয়া হয়েছে গ্রিলের বেষ্টনী। শুধু এই বেষ্টনী দিয়েই অধিদপ্তরের দায়িত্ব যেন শেষ।

ধারণা করা হয়, এখানে শায়েস্তা খাঁর কোনো মেয়ের সমাধি রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের লাগানো সাইনবোর্ডে বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ওই সাইনবোর্ডে উল্লেখ রয়েছে, এটি অজানা সমাধি। এই সমাধি সাত গম্বুজ মসজিদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্থানীয় ও প্রচলিত লোকজনের তথ্য অনুযায়ী, এর ভেতর নবাব শায়েস্তা খাঁর মেয়ের সমাধি রয়েছে। সমাধিটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত পুরাকীর্তি। তবে বংশপরম্পরায় সমাধির একসময়ের তদারককারী নুরুল ইসলাম মনে করেন, ‘এখানে শায়েস্তা খাঁর মেয়ে নয়; বরং সাত গম্বুজ মসজিদ নির্মাতাদের একজন ফয়জুদ্দীন শাহ সুলতানের সমাধি এটি।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাজারের ভিতরে নিরব নিস্তব্ধ। সীমানা প্রাচীরের পাশ দিয়ে চলছে গাড়ি। মাজারের মধ্যে রয়েছে আরো দুটি কবর। এর মধ্যে একটি খাদেম ইউসুপ শাহ-এর। আরেকটি তার স্ত্রী সোনাভানু বেগমের।

একটি বিষয় লক্ষনীয় এখানে নেই কোন নেশাখোরদের আসর বা কোন ভক্ত অনুরাগীদের পদচারনা। অন্যান্য কতিপয় মাজারের মতো ব্যবসা কেন্দ্র তৈরি করা হয়নি এটিকে। কবরটির রহস্যের জল্পনা-কল্পনাতেই ব্যবসা কেন্দ্র হয়নি বলে স্থানীয়দের মতামত।

রহস্যে ঘেরা এই মাজারটিতে রাতে মোম জ্বালিয়ে দেয়া হয়। অজানা এই মাজার অজানাই থাকবে নাকি এটি ইতিহাস জানা যাবে তার প্রতিক্ষা করলেও করতে পারেন। তবে ঘুরে দেখে আসতে পারেন আপনিও এই শায়েস্তাখাঁর আমলের স্থাপনাটি।

বিডি২৪লাইভ/এসএস 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: