নতুন পর্যবেক্ষক সংস্থার খসড়া তালিকা প্রকাশ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (২ এপ্রিল) নতুন পর্যবেক্ষক সংস্থার খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ১২০টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করেছে ইসি। নির্বাচন পর্যবেক্ষক হতে এসব সংস্থার বিরুদ্ধে কোন দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ইসি সচিব বরারব লিখিত আবেদন জানাতে বলা হয়েছে।
ইসির যুগ্ম-সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানান, কারো বিরুদ্ধে কোন দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তার স্বপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ অভিযোগকারীর নাম, ঠিকানা ফোন নম্বর উল্লেখ করে ছয় সেট আপত্তি দাখিল করতে হবে। শুনানি শেষে তা গ্রহণ বা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। গণবিজ্ঞপ্তিটি কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
ইসি সূত্র জানায়, যাচাই-বাছাই, আপত্তি শেষে যোগ্যতা সম্পন্ন সংস্থাগুলোকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দিবে কমিশন। এর আগে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। আগ্রহী সংস্থাগুলোর আবেদন করার সময় ছিল গত বছরের ৭ নভেম্বর। নির্দিষ্ট সময়ে প্রায় দুই শতাধিক সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষকের জন্য নিবন্ধনের আবেদন করে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০১৭ অনুসারে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনে আগ্রহী বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করে কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এবার নামসর্বস্ব কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এজন্য নীতিমালায় কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। এ নীতিমালা অনুসারে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে এমন সংগঠনকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। পাশাপাশি যাদের নিবন্ধিত গঠনতন্ত্রের মধ্যে এসব বিষয়সহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্যপ্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণের অঙ্গীকার রয়েছে তাদের নিবন্ধনের জন্য সুপারিশ করা হবে।
শুধু বেসরকারি সংস্থাই নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হওয়ায় অগ্রাধিকার পাবে। এছাড়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন বা আছেন কিংবা নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন করার সময়ের মধ্যে কোনো নির্বাচনের প্রার্থী হতে আগ্রহী ব্যক্তির সংস্থাকেও এবারে নিবন্ধন দেয়া হবে না বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আরপিও-১৯৭২ সংশোধন করে প্রথমবারের মতো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নবম সংসদ নির্বাচনের সময় প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। একইসঙ্গে পর্যবেক্ষক নীতিমালাও তৈরি করা হয়। এরপর ২০১০ সালে নীতিমালা সংশোধন করে তৎকালীন এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছর করে।
সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন ১৩৮টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে। পরে ২০১৩ সালে নিবন্ধন নীতিমালা সংশোধন করে ১২০টি সংস্থাকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে কমিশন। যাদের পাঁচ বছর মেয়াদকাল ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শেষ হয়। পরে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বিগত কমিশন নতুন করে নিবন্ধনের সুযোগ সৃষ্টি না করে ওই সংস্থাগুলোর নিবন্ধনের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে দেয়। ফলে সংস্থাগুলোর মেয়াদকাল ২০১৭ সালে জানুয়ারিতে শেষ হয়ে যায়।
পরে নতুন করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন না চেয়ে বর্তমান কেএম নূরুল হুদা কমিশন গত ২৮ মার্চ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে দেয়।
বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: