সংখ্যালঘু নিপীড়ন বিএনপির পলিসি

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০১৮, ০৩:৪৯ পিএম

মাইনরিটি (সংখ্যালঘু) নিপীড়ন বিএনপির পলিসি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওয়াদুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন আসলে মাইনোরটিদের জন্য মায়া কান্না দেখায় দলটি। ২০০১ থেকে ২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন মাইনরিটিদের অনেক নির্যাতন- নিপীড়ন করেছে। এটা ছিলো তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের পলিসি।

শুক্রবার (১৮ মে) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি বার্ষিকী সম্মেলেন-২০১৮ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কাদের বলনে, ভুলত্রুটি আমাদেরও আছে। আমাদের সরকারের সময় মাইনরিটিদের ওপর দুই-একটি বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে। এটা আওয়ামী লীগের পলিসি নয়। দুর্বিত্তরা এটা ঘটিয়েছে। দুর্বিত্তদের ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স।

আওয়ামী লীগ থেকে মাইনরিটিদের আর কোনো ভালো বন্ধু নেই বলেও জানান কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের কেনো বিকল্প নেই। বিকল্প পাকিস্তানের দোসররা। আমাদের বিকল্প তাদের ভাবলে আপনাদের ভুল হবে। 

শেখ হাসিনা আপনাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের যোগ্যতার অবমূল্যায়ন করেনি। যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া সহ দলের বিভিন্ন কমিটিতে আপনাদের রেখেছেন।

"খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখার জন্য সরকার কারাগার থেকে মুক্তি দিচ্ছে না" বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ সরকারের আমলে বিচারবিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আদালতে সরকারের হস্তক্ষেপ নেই বলেই উচ্চ আদালতও খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছে। বিএনপি নেতাদের জানতে হবে মামলা কয়টা, জামিন নিয়েছে কয়টা।

মামলা নিয়েও বিএনপি নেতার মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার এ মামলা আওয়ামী লীগ সরকার নয় তত্ত্বাবোধায়ক সরকার দিয়েছিলো। মামলা নিয়ে বিএনপি নেতাদের আদালতে যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

কাদের বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির ভোট কমে গেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভের আশা হারিয়ে ফেলেছে তারা। তাই জাতীয় নির্বাচন থেকে সড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। তাদের জনগণের ওপর ভরসা কম। কথায় কথায় তারা বিদেশীদের কাছে নালিশ করে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন, ভারতী হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, মৎস ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার প্রমুখ।

বিডি২৪লাইভ/এসআই/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: