গার্মেন্টসে ১০ জুনের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধের তাগিদ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ঈদের আগে ১৪ জুনের মধ্যে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন ও বোনাসসহ যা যা প্রাপ্য তা ক্রমান্বয়ে পরিশোধের ব্যবস্থা করবেন মালিকরা। এ বিষয়ে আমরা মালিকদের অনুরোধ করেছি। তারাও একমত হয়েছেন। আগামী ৭ জুনের মধ্যে মধ্যে বেতন পরিশোধ ও ১০ জুনের মধ্যে শ্রমিকদের উৎসব ভাতা প্রদানের জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছি।
মন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে যানজট কমাতে শ্রকিমকদের ১২, ১৩, ও ১৪ জুন পর্যায়ক্রমে ছুটি দিতে আমরা তাদের অনুরোধ করেছি। তাতে বিকেএমইএ সভাপতিও আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
রবিবার সচিবালয়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, গার্মেন্টের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ফায়ার সার্ভিস ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সমন্বয়ে একটি কমিটি করার বিষয়ে বিশেষ আলোচনা হয়েছে। ঈদের আগের কয়দিনের জন্য তারা ক্রাইসিস মোমেন্ট মোকাবেলা করবে।
১৪ জুন পর্যন্ত যেসব এলাকায় বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে সেসব এলাকায় ব্যাংকগুলো খোলা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে পুলিশের সঙ্গে কিছু কিছু স্থানে আনসার নিয়োগ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নৌপথে কোস্টগার্ড থাকবে, যাতে বাড়তি যাত্রী কেউ নিতে না পারে। সারাদেশে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হবে। আমাদের সিদ্ধান্তগুলো যে যে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে তারা যাতে এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালনা করতে পারে।
ঈদুল ফিতরে সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে সরকার। এজন্য যা যা করার তাই করা হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে সমন্বয় করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে জানান মন্ত্রী।
আসছে ঈদুল ফিতরে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্মের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠান হচ্ছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরে সারা বাংলাদেশে সবধরনের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা আজকে পর্যালোচনা করেছি এবং দেশের রাস্তাঘাট যাতে সচল থাকে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আলোচনা করেছি সর্ববৃহৎ যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে সেই গার্মেন্ট শ্রমিকরা যেন ভালোভাবে বাড়ি যেতে পারে এবং বাড়ি থেকে ফিরতে পারে সে নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। গার্মেন্ট সেক্টরের কারখানাগুলোতে যাতে নিরাপত্তা ভালো থাকে সেটা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।
বৈঠকে আলোচনা হওয়া বেশকিছু বিষয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে বেশকিছু সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। রাজধানীসহ সারাদেশে সংঘটিত হওয়া ঈদের জামাতগুলোতে প্রতিবছরের মতো সিসি টিভি ক্যামেরা থাকবে। এবার আরও সুচারুভাবে এবং নির্ভুলভাবে সেগুলো আমরা সাজানো থাকবে। মেটালিক চেকপোস্টের ব্যবস্থা থাকবে। মার্কেটগুলোতে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা যাতে নির্বিঘ্নে কার্যক্রম চালাতে পারে সেজন্য সবধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সব মার্কেটে নারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বিশেষ করে স্বর্ণের দোকানে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বড় মার্কেটগুলোতে যাতে জাল টাকা লেনদেন করতে না পারে সেজন্য আমরা সবধরনের ব্যবস্থা করেছি।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক চেকপোস্ট বসানো হবে। অজ্ঞান, মলম পার্টি, ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১ রমজান থেকে আজ পর্যন্ত ৭২ জন অজ্ঞানপার্টির সদস্য ও ৩২ জন ছিনতাইকারী ধরা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশ ও বহিঃগমন পথে যাতে জানজট না হয় সেজন্য প্রচেষ্টা থাকবে। সম্ভাব্য আগুন নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন শপিং মল এবং নির্দিষ্ট পয়েন্টে ফায়ার সার্ভিসের টিম থাকবে। নৌবন্দরগুলোতে ডুবুরি থাকবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, মহাসড়কে জানজট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে গৌরিপুর, সীতাকুন্ড ও কাঁচপুর এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব এলাকায় বিশেষ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা থাকবে। যাতে করে গতবারের মতো এবারও যথাসময়ে সবাই বাড়ী ফিরতে পারেন। নৌপথে অতিরিক্ত যাত্রী আমরা উঠতে দেব না। বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। টিকেট কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা তৎপরতা থাকবে। মহাসড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে জেলা পুলিশ ও র্যাবের কমান্ড থাকবে।
বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: