যে কাজগুলো মানুষকে ধ্বংস করে!

প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০১৮, ০১:৫৮ পিএম

পবিত্র রমজান মাস তাকওয়া অর্জনের মাস, আত্মশুদ্ধির মাস। এ মাসের প্রতিটি ভালো কাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। এ মাসের রোজা পালনে মানুষ হয়ে ওঠে সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া নবজাতকের মতো নিষ্পাপ। এ মাসের মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা। রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন-

‘যে ব্যক্তি রমজান পেল এবং রমজানের রোজা রাখলো কিন্তু নিজেকে গোনাহ থেকে মুক্ত করতে পারলো না; তার মতো হতভাগা ব্যক্তি আর কেউ নেই।

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি রমজান পেল এবং তার হকসমূহ যথাযথ পালন করলো। সে ব্যক্তি এমনভাবে পাপমুক্ত হলো, যেন সে সদ্য মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হলো।’

রমজানকে তার যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে এবং নিজেদের গোনাহমুক্ত রাখতে কুরআন-সুন্নাহ ঘোষিত পদ্ধতিতে জীবন পরিচালনা করা আবশ্যক।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে ৭টি ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। যারা এ দুনিয়ার জীবনে এ কাজগুলো থেকে বিরত থাকবে; তাদের দুনিয়া ও পরকালের সফলতা সুনিশ্চিত।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা ৭টি ধ্বংসাত্মক জিনিস থেকে বিরত থাকবে। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, সে সাতটি জিনিস কি? তিনি বললেন, সেগুলো হলো-

* আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা।
* যাদু করা।
* অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা।
* সুদ খাওয়া।
* ইয়াতিমের মাল আত্মসাৎ করা।
* জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা।
* কোনো সতি-সাধ্বী মুমিন নারীকে অপবাদ দেয়া। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)

হাদিসে উল্লেখিত কাজগুলো যদি কেউ করে তবে সে সুনিশ্চিত ধ্বংসে পতিত হবে।

প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রিয় উম্মতকে সতর্ক করে উল্লেখিত কাজগুলো থেকে নিজেদের বিরত রাখতে সর্বদা সতর্ক করে দিয়েছেন। সুতরাং যারা এ কাজগুলো থেকে বিরত থাকবে, পরকালের সফলতা তাদের জন্য সুনিশ্চিত।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত উল্লেখিত হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে দুনিয়া ও পরকালের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বিডি২৪লাইভ/এমআরএম
 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: