ঈদ নিয়ে ‘নো টেনশন’

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৮, ০৮:৪৬ পিএম

আমাদের ঘরবাড়ি, চারপাশ আমরা পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি না? রাস্তায় পড়ে থাকা কাগজের টুকরো বা কলার খোসা ধারে কাছের ডাস্টবিনে নিয়ে ফেলায় হয়তো আপনার অফিস সময় আপনাকে তাড়া দেবে। তবে নিজে কোনো কিছু রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয়ার বেখেয়ালিপনাকে পকেটবন্দি করে আমরা প্রত্যেকে নিজে থেকেই আমাদের প্রিয় শহরকে ঝকঝকে-তকতকে করে তুলতে পারি।

কেউ হয়তো বলবেন, নগরীগুলোর নির্বাচিত বা অনির্বাচিত প্রশাসন রয়েছে। এমনকি প্রতিটি অলিগলিতেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ঘুরে ঘুরে বর্জ্য সংগ্রহ করে। অতঃপর নাগরিকদের পরিচ্ছন্নতায় নামার দরকার কী? উত্তরে শুধু বলবো, ‘সুন্দরকে কে ভালোবাসে না বলুন। আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার একটি চমৎকার যোগকে অস্বীকার করা যায় না।’

বিডি২৪লাইভের প্রতিনিধি সাইফুলকে এভাবেই বলছিলেন রাজধানীর পরিচ্ছন্নকর্মী আবুল হোসেন। তার ভেতরে ঈদের আনন্দও নেই। আছে শুধু আক্ষেপ। আর তাইতো হতাশ কন্ঠে বলেন, ‘আমাদের যা আয় তা দিয়ে কি আর ঈদের সামগ্রী কেনা যায়? তবে ঈদ বলে কথা, নো টেনশন আল্লহ চাইলে খুব ভালো ভাবেই ঈদ করবো।’

দিনরাত পরিশ্রম করে থাকেন নগরীর পরিচ্ছন্নকর্মীরা। তারা প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল কখনও বা সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেন। রাজধানীর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের জন্য দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছে। তবে রোজার ঈদের এদের কাজ কম। তারাও সরকারি ছুটি পাবে।

&dquote;&dquote;আবুল হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিন পড়েই ঈদ। তাই একটু কাজ কম। তবে কোরবানির ঈদে রাত দিন কাজ করতে হয়। আমাদের ঈদে আনন্দ না হলেও, নগরীর মানুষরা যেন ভালোভাবে ঈদে আনন্দ করতে পারে তার কিছুটা ব্যবস্থাও করে দেয়।’

পরিচ্ছন্নকর্মী হাসনা আরা বেগম বলেন, ‘অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশনগুলোর তৎপরতা বেশি। এবার যে বেতন পাইছি তা দিয়ে ঈদের কিছুটা খরচ করেছি। ঈদে নিজের জন্য কিছু না কিনলেও ছেলে মেয়েদের জন্য জামাকাপড় ও জুতা তিনি কিনে দিয়েছেন।’

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: