ভিডিও করে ভয় দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ
জোর করে ধর্ষণ করে ভিডিও করে পরবর্তীতে নিয়মিত ধর্ষণের অভিযোগ ঊঠেছে এক প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানের বিরুদ্ধে। তাদের বাসারগৃহকর্মীকে জোরপূর্বক ধর্ষণে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভরতকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী গৃহকর্মী ন্যায় বিচারের আশায় ঝালকাঠির নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশী অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক নলছিটি থানার ওসিকে ঘটনার তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৩৫ বছর বয়সী দুই সন্তানের জননী এলিজা বেগম অভাব অনটনের কারণে মাঝে মধ্যে একই গ্রামের প্রভাবশালী মান্নান হাওলাদারের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। মান্নান হাওলাদারের স্ত্রী রিনা বেগম প্রায়ই এলিজাকে ডেকে সাংসারের নানা কাজ করাতেন।
তিন চার মাস পূর্বে মেহমান আশার কারণে রিংকুর মা এলিজাকে তাদের বাড়ি ডেকে নেয়। বাড়ির কাজ দেরিতে শেষ হওয়ায় এলিজাকে ওই দিন রাতে থেকে যেতে অনুরোধ করে রিংকুর মা এবং এলিজাকে বাড়ির একটি কক্ষে ঘুমাতে দেয়। এলিজা তার ছয় বছরের সন্তান রাহাতকে নিয়ে ওই বাড়ির বিল্ডিং এর একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে আসামি মশিউর রহমান রিংকু কৌশলে দরজা খুলে এলিজার রুমে ঢুকে মুখ চেপে ধরে এবং শিশু সন্তানের গলায় চাকু ধরে চুপ থাকতে বলে জোরপূর্বক এলিজাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের দৃশ্য রিংকু কৌশলে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে। এ ঘটনার পর ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে প্রায়ই রিংকু এলিজাকে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায় এলিজা গর্ভবতী হয়ে পড়লে রিংকু জোরপূর্বক ওষুধ খাইয়ে ভ্রুণ নষ্ট করে দেয়।
এ ঘটনার পর বিষয়টি রিংকুর মা রিনা বেগমের কাছে নালিশ জানালেও কোন প্রতিকার পায়নি এলিজা। রিংকুর হাত থেকে বাঁচার জন্য এলিজা রিংকুদের বাড়িতে আসা যাওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তাতেও এলিজার মুক্তি মেলেনি। সর্বশেষ গত ৬ মে রাত নয়টার দিকে এলিজা তার স্বামীর বাড়ির পেছনের বারান্দায় শিশু পুত্রকে ঘুম পড়ানোর সময় মশিউর রহমান রিংকু ঘরে প্রবেশ করে সন্তানদের হত্যার হুমকি ও পূর্বে ধারণ করা ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক পুনরায় এলিজাকে ধর্ষণ করে। জীবন বাঁচাতে এলিজা চিৎকার দিলে স্থানীয় কিছু লোকজন ছুটে এলে রিংকু পালিয়ে যায়।
ওই রাতেই স্থানীয় লোকজন নিয়ে এলিজা ধর্ষণের বিষয়টি রিংকুর মা এবং বাবা মান্নান হাওলাদারকে জানান। এতে রিংকুর বাবা মা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের প্রভাবশালী আত্মীয় স্বজন নিয়ে এলিজাকে চুপ থাকতে বলে এবং এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেয়।
এলিজার স্বামী ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। খবর পেয়ে তিনি গ্রামে আসেন এবং স্ত্রীকে নিয়ে ঝালকাঠির আদালতে মামলা দায়ের করেন।
নলছিটি থানা সূত্রে জানা গেছে অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য নলছিটি থানার ওসি মো. শাখাওয়াত হোসেন পরিদর্শক আব্দুল হালিম তালুকদারকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
বিডি২৪লাইভ/এসএস
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: