ছাত্রীর বাসায় রাত্রি যাপন, অতঃপর!

প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০১৮, ১১:১৫ পিএম

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার এক স্কুল ছাত্রীর সাথে প্রেম করে বিয়ে করায় বিপাকে পড়েছেন মুনজুরুল ইসলাম নামের এক মাধ্যমিক শিক্ষক। সে ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাটুলীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক ও তার প্রেমিকা একই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।

স্কুল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষক এনটিআরসি এর থেকে কয়েক বছর পূর্বে বাংলা বিষয়ে পাটুলীপাড়া বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন। মুনজুরুল ইসলামের বাড়ি খানমরিচ ইউনিয়নে হওয়ার কারণে বাড়ি থেকে পাটুলীপাড়া এসে ক্লাস করা অসুবিধা হত। সে কারণে মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ের পাশের জনৈক ব্যক্তির ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাড়িতে রাত্রি যাপন করত। এই সুবাধে ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে ঐ শিক্ষক। অতঃপর বিষয়টি জানাজানি হলে পারিপার্শ্বিকতার চাপে গত মাস দুই পূর্বে ঐ ছাত্রীকে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি।

এদিকে বিয়ের পর থেকেই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষক মুজুরুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে কিন্তু বর্তমানে সাময়িক বখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করার জন্য কমিটি ও প্রভাবশালী মহল বিশেষ সুবিধা নিয়ে আপোস মীমাংসার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মহল আশঙ্কা করছেন ওই শিক্ষক আবারও বিদ্যালয়ে পূর্নবাহাল হলে এমন ঘটনা আবারও ঘটাতে পারেন।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের মাধ্যমে বিয়ে ও সাময়িক বহিষ্কারের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক মুনজুরুল ইসলাম।

এ বিষয়ে পাটুলীপাড়া উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম সানোয়ার হোসেন জানান, কোন শিক্ষককে ২ মাসের অধিক সাময়িক বহিষ্কার করার বিধান নেই, তাই পূণবহালের প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত রয়েছে। সে তার বরখাস্ত প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: