শাস্তি বেড়েছে লাইসেন্স ছাড়া সার ব্যবসায়

প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০১৮, ০২:১০ পিএম

শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে সার ব্যবস্থাপনা সংশোধন আইন- ২০১৮ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ২০০৬ সালের করা আইনে সংশোধন এনে এ শাস্তির বিধান বাড়িয়ে ২ বছর সশ্রম কারদণ্ড ও অনূর্ধ্ব ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে নতুন এ আইনে।

সোমবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, নিবন্ধন ধারা অর্থ্যাৎ এ আইনের ৮ ধারায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। কোন ব্যক্তি ৮ ধারা লঙ্ঘন করলে অর্থ্যাৎ নিবন্ধন ছাড়া যদি কেউ সার ব্যবসা করে তাহলে আগে ছিল ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে। এখন তা পরিবর্তন করে উক্ত অপরাধের জন্য তিনি ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অনূর্ধ্ব ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

আইনের ৮ ধারায় বলা হয়েছে, নিবন্ধন ব্যতীত সার উৎপাদন,আমাদানী, সংরক্ষণ, বিপণন, বিতরণ, পরিবহন বা বিক্রয় করলে তাকে এমন শাস্তি দেওয়া যাবে বলে।

&dquote;&dquote;আইনের ১৪ ধারার উপধারা ৪ এর (ক) তে কিছু বিষয় সংযুক্ত আনা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, এ ধারার অধিন প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে আপিল কর্মকর্তার নিকট পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করতে পারবে। আবেদন প্রাপ্তির অনধিক ১০ দিনের মধ্যে তা নিস্পত্তি করতে হবে- বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, নতুন আরও একটি ধারা ২১ (ক) সংযুক্ত করা হয়েছে এ আইনে। যদি কোন ব্যক্তি কোন ব্যাক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে এ আইনের অধিন মামলা করার জন্য আইনানুগ কারণ নেই জানিয়েও মামলা দায়ের করেন বা করান তাহলে যিনি মামলা করিয়েছেন উক্ত ব্যক্তি দায়েরকৃত মামলার জন্য নির্ধারিত দণ্ডের সমপরিমাণ দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

সচিব আরও জানান, আগের ২০০৬ সালের আইনের কিছু ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ধারা ৪ এ ২০০৬ আইনে ছিল শিল্পমন্ত্রণালয়ের ১৫ জন সদস্যের সমন্ময়ে জাতীয় সার প্রমিতকরণ কমিটি গঠিত হবে। এবার এ ধারায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখানে সদস্য সংখ্যা দুই জন বাড়িয়ে মোট ১৭ জন করা হয়েছে। সরকারের গেজেট দ্বারা কৃষি সচিবকে সভাপতি করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধিসহ মোট ১৭ জনের একটি কমিটি করা হবে।


বিডি২৪লাইভ/এএচইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: