যেভাবে চিকিৎসা নিলে ‘মৃত্যুর হার কমে’

প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০১৮, ১১:০১ এএম

ডাক্তার কিংবা ডাক্তারের চিকিৎসা যে কোন একটা পছন্দ না হলেই আমরা ডাক্তার পরিবর্তন করে ফেলি। ডাক্তার পরিবর্তন করা যেন আমাদের একরকম অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। আমরা একরকম ডাক্তার পরিবর্তন করে অভ্যস্ত।

দেখা যায় একজন ডাক্তারের কাছে কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পরেই তার চিকিৎসা পছন্দ না হলেই আবার অন্য এক ডাক্তারের কাছে দৌড় দেই। সেখানে পছন্দ না হলে আবার অন্য কোথাও। এভাবে বারবার ডাক্তার পরিবর্তন না করে যদি স্থিরভাবে ধৈর্য নিয়ে এক ডাক্তারই দেখায় তবে তাতে মৃত্যুর হার কম। 

নতুন এক গবেষণায় বলছে যেসব রোগীরা একই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেন অর্থাৎ যখন-তখন চিকিৎসক বদলান না, তাদের মৃত্যুর হার কম। ইউনিভার্সিটির অব এক্সেটার এর গবেষকরা বলছেন মানুষের চিকিৎসার যে ব্যবস্থা রয়েছে তাতে করে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু এই সম্ভাবনাকে অবহেলা করা হয়। চিকিৎসকরা বলছেন তারা চিহ্নিত করেছেন রোগীদের তাদের 'নিজেদের ডাক্তার' দেখানোর বিষয়টা।

তারা সেসব ডাক্তারের কাছে দেখানোর জন্য লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা করতেও অসুবিধা বোধ করে না। গবেষণা প্রতিবেদনটি বিএমজে ওপেন এ প্রকাশ করা হয়েছে।

সেখানে নয়টা দেশ যাদের মধ্যে রয়েছে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা এবং দক্ষিণ কোরিয়া। ২২টি গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১৮ টি গবেষণা বলছে দুই বছর ধরে একই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেয়াটা অন্যান্য রোগীদের তুলনায় মৃত্যুর হার কমিয়ে দিয়েছে।

গবেষকরা বলছেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনায় এটাতেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত।

ইউনিভার্সিটির অব এক্সটার অধ্যাপক ফিলিপ ইভান্স বলছেন "যত্নের ব্যাপারটা তখনি ঘটে যখন রোগী এবং চিকিৎসকের সাক্ষাতটা নিয়মিত হয়।

তারা একে অপরকে জানতে এবং বুঝতে পারে। এটাই দুইজনের মধ্যে ভালো যোগাযোগ স্থাপন করে, রোগীর মনেও সন্তুষ্টি তৈরি করে।"

সূত্র: বিবিসি

বিডি২৪লাইভ/এমআরএম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: