চাকরিতে কার জন্য কত কোটা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০১৮, ০৬:০৮ পিএম

জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) তত্ত্বাবধানে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে সাংবিধানিক অনুশাসন অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদে প্রার্থী মনোনয়ন করা হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধা ক্রমানুসারে পাঁচ ধরনের কোট পদ্ধতি অনুসরণ সাপেক্ষে চাকরিতে যোগদান করানো হয়।

এসব কোটাসমূহের মধ্যে মেধাভিত্তিক (জেলা কোটা বর্হিভূত) ৪৫ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ, মহিলাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৫ শতাংশ এবং জেলার সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ১০ শতাংশসহ মোট শতভাগ। তবে, প্রাধিকার কোটার অপূরণকৃত ১ শতাংশ কোটা প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হয়ে থাকে।

আজ সোমবার (৯ জুলাই) ঠাকুরগাঁও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটার লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারি সরকারের সার্কুলারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী না পাওয়া গেলে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার পদ তাদের পুত্র-কন্যা প্রার্থী দ্বারা পূরণ করা হয়। এছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদ পূরণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটাসমূহের মধ্যে যে কোটায় পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রার্থী পাওয়া যাবে না সেখানে যোগ্য প্রতিবন্ধী প্রার্থীর মধ্য থেকে ১ শতাংশ কোটা পূরণ করা হয়।

&dquote;&dquote;মন্ত্রী আরও বলেন, এসব পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে গত ২০১০ সালের ৫ মে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিশেষ কোটার অধীনে কোন জেলার বিতরণকৃত পদের সংখ্যা হতে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কম হলে অপূর্ণ পদসমূহ জাতীয় ভিত্তিক স্ব স্ব বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) জন্য প্রণীত জাতীয় মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হয়।

তবে, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার কোনো কৃতকার্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে উক্ত পদগুলো অবশিষ্ট কোটা অর্থাৎ জেলার সাধারণ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) পদ পূরণ করা সম্ভব না হলে অপূরণকৃত সে সকল পদ জাতীয় মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের থেকে পূরণ করা হয়।’

তাছাড়া ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদ সমূহের জন্য বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের কোটার শতকরা হার হচ্ছে এতিম নিবাসী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী (জেলা কোটা বহির্ভূত) ১০ শতাংশ, জেলা কোটা (জনসংখ্যার ভিত্তিতে জেলাওয়ারী বন্টন) ৯০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, মহিলা কোটা ১৫ শতাংশ, উপজাতীয় ৫ শতাংশ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্যদের কোটা ১০ শতঅংশ এবং অবশিষ্ট জেলার সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ৩০ শতাংশ।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: