কোটা আন্দোলনের নেতা সুহেলকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৮, ০৬:৫১ পিএম

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এপিএম সুহেলকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) ভোরে রাজধানীর শান্তিনগরের একটি বাসা থেকে তাঁকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন সুহেলের সহপাঠী গণজাগরণ মঞ্চ নেত্রী লাকী আক্তার।

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি লাকী আক্তার বলেন, সুহেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার বিভাগের ছাত্র। সেই সূত্রে সে মাঝে মধ্যে এসে আমার শান্তিনগরের বাসায় থাকত। আজ ভোরে আমার বাসায় অভিযান চালিয়ে সুহেলকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্টন মডেল থানার ডিউটি অফিসার সেলিনা বলেন, এ নিয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য এখনও আসেনি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখায় যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকেও বলা হয়েছে, আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না, আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে সুহেলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন লাকী আক্তার। তিনি জানান, ভোররাত ৪টা নাগাদ ডিবি পুলিশের আট থেকে ১০ জনের একটি দল তার বাসায় অভিযান চালায়। তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। পরে বাড়ির মালিককে সঙ্গে করে তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে সুহেলকে নিয়ে গেছে।

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক এ সভাপতি লিখেছেন, আলাদা একটি কক্ষে সুহেলকে হাতকড়া পরিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি।

এর আগে গত ২৩ মে বিকালে পরীক্ষা শেষে ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথে হামলার শিকার হয়েছিলেন জবি ইংরেজি বিভাগের ১০ ব্যাচের ছাত্র সুহেল।

সুহেল তখন জানিয়েছিলেন, কোটা আন্দোলনের জন্য দ্বিতীয়বার তাকে মার খেতে হয়েছে। প্রথমবার চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারা হয়েছিল। দ্বিতীয়বারের মারধরে ঠোঁটের বাইরে ৯টা ও ভেতরেও দুটি সেলাই দিতে হয়েছে।

সুহেল কোটা সংস্কারের আন্দোলনে নেতৃত্বের পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমেদকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: