যুদ্ধাপরাধ মামলায় ৪ জনের ফাঁসি

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৮, ১১:৪৭ এএম

যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৌলভীবাজারের রাজনগর থানার মো. আকমল আলী তালুকদারসহ চার জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেয়।

আসামিরা হলেন- আকমল আলী তালুকদার (৭৬), আব্দুর নুর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া (৬২), আনিছ মিয়া (৭৬) ও আব্দুল মোছাব্বির।

মৌলভীবাজারের রাজানগর উপজেলার সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক আকমল আলী তালুকদারসহ চার জনের বিরুদ্ধে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ২৭ মার্চ যে কোন দিন রায় ঘোষণার (সিএভি) জন্য রেখে আদেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। এটি হবে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ৩৩তম রায়।

আকমল আলী তালুকদারকে ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। এই চারজনই মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার বাসিন্দা।

গত বছরের ৭ মে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, মরদেহ গুম, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দু’টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে আনুমানিক ১০২টি পরিবারের ১৩২টি ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ছয়জনকে ধর্ষণ, সাতজনকে অপহরণ ও ৬১ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। আসামিরা একাত্তরের ৭ মে থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ও পশ্চিমভাগ গ্রামে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর ওই চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে আকমল আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। তিনি মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ।

২০১৬ সালের ২৩ মার্চ এ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এর ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) তৈরি করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন প্রসিকিউশন।

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: