যে কারণে রাতে কাজ করবেন না!

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৮, ১২:৫১ পিএম

আমাদের অনেকের গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করার অভ্যেস। অনেকে আবার অফিসে ইচ্ছে করে বা অফিসের প্রয়োজনে রাতের শিফটে কাজ করি। কিংবা রাত জেগে টিভি দেখার বদ অভ্যাস রয়েছে কারও কারও। তবে এভাবে ঢালাও রাত জেগে কাজ করা, টিভি দেখা ঠিকনা না। এ বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন। 

একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, জীবনের চেয়ে কাজ বা টিভি’র প্রোগাম বড় নয়। বিবিসি জানায়, যুক্তরাজ্যের গবেষকদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাত জেগে কাজ করলে দেহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ব্যাপক ধস নামে। অপূরণীয় ক্ষতি হয় দেহের। গবেষকরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্যই পেয়েছেন। রাতের বেলায় কাজের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকির সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। 

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতের শিফটে কাজ করেন তারা অন্যান্যদের তুলনায় স্থূলতা, ডায়াবেটিসের প্রবণতা বাড়ে যা পরবর্তী সময়ে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক দল বলছেন, মস্তিষ্ক থেকে ঘড়ির মতো দিন-রাতের পার্থক্য নির্ধারিত হয়। একই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন-ফুসফুস, অন্ত্র ও অগ্ন্যাশয় সব স্থানেই নিজস্ব ঘড়ি রয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দিন-রাত শিফট মিলিয়ে যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে স্তন, ত্বক ও অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। গবেষকরা বলছেন, শিফটিং কাজ যারা করেন তাদের পরবর্তী জীবনে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।

তারা আরও বলছেন, শিফটিং ডিউটি করলে কেন এসব রোগের ঝুঁকি থাকে তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। যদি কারণগুলো ঠিকমতো নির্ণয় করা যায় তাহলে আগামীতে এসব রোগ প্রতিরোধের উপায়ও তারা বের করতে পারবেন।

গবেষক দলের একজন হ্যানস ভেন ডনজেন বলেন, ‘কাজের শিফট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে শরীরের হজম প্রক্রিয়া পরিবর্তন হয় এটা কেউ জানে না। মস্তিষ্ক এই পরিবর্তন সহজে নিতে পারে না। এ কারণে যারা দিন-রাতের শিফট মিলিয়ে কাজ করেন তাদের শরীরের ঘড়ি কখনও সংকেত দেয় এটা রাত, কখনও আবার সংকেত দেয় এটা দিন, এতে বিপাকে সমস্যা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি শিফটের কাজ এবং কিডনি অসুখের একটা সংযোগ রয়েছে।’ এছাড়া ঘুমের সময় এলোমেলো হওয়ার কারণে ঘুম কম হয়। এ কারণে অবসাদ, হতাশা, মানসিক স্বাস্থ্যও বিঘ্নিত হয়।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

বিডি২৪লাইভ/এমআরএম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: