জাপানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৮, ০১:৫৪ পিএম

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। শুধু আর্থিক ক্ষেত্রেই নয়, কারিগরি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জাপানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ তিন দিনব্যাপী এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

জাপানকে বাংলাদেশের খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপানের সংবাদ মাধ্যম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাধীনতার পরপরই জাপান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকেই জাপানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি পেয়েছে। জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ জাপান সম্পর্কে জানার এবং আরো ঘনিষ্ট হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য জগতের অন্যান্য দেশের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও অর্জন আমাদের কাজে লাগাতে হবে। জাপান এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। জাপান মেধা ও প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে দ্রুত উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাপান একটি উদাহরণ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এবং খাদ্য ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে অতি অল্প সময়ে বিপুল পরিবর্তন হয়েছে। প্রায় শতকরা ১০০ ভাগ এনরোলমেন্ট সম্ভব হয়েছে।

জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল বারকাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি, প্রফেসর ড. নাসরিন আহমাদ ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ সামাদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম।

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: