ঈদকে ঘিরে ৬৬ মডেলের ফ্রিজ আনল মার্সেল

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৮, ০৯:০৬ পিএম

 

দামে সাশ্রয়ী। মানে সেরা। অসংখ্য কালার ও ডিজাইন। হাতের কাছে সহজ বিক্রয়োত্তর সেবা। উচ্চ প্রযুক্তিতে দেশেই তৈরি। এসব কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই গ্রাহকদের মন জয় করেছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল।

মার্সেল ব্র্যান্ডের প্রধান পণ্য বলা চলে রেফ্রিজারেটর। কোরবানীর ঈদের সময়টা বাংলাদেশে ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম। ঈদ সামনে রেখে এবার ৬৬ মডেলের ফ্রিজ প্রদর্শন ও বিক্রি করছে মার্সেল।

জানা গেছে, ঈদকে টার্গেট করে আগামি এক মাসে ১ লাখ ফ্রিজ বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছে মার্সেল। পাশাপাশি একই সময়ে গত বছরের চেয়ে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ বেশি টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার ও হোম অ্যাপ্লাপয়েন্সেস বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্রমতে, এবারের রোজায় স্থানীয় বাজারে সাশ্রয়ী দামে উচ্চ গুণগতমানের ফ্রিজ, এসি, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেসের দুই শতাধিক মডেলের পণ্য ছেড়েছিল মার্সেল। ফলে, রোজায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। বিক্রি বৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবার টার্গেট করা হয়েছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদকে।

বিক্রেতারা জানান, কোরবানীর গোসত সংরক্ষণের জন্য ঈদুল আযহায় ফ্রিজের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। সারা বছরের মোট ফ্রিজের অর্ধেকই বিক্রি হয় এই সময়ে। কোরবানিতে ফ্রিজের এই বাড়তি চাহিদা পূরণে প্রস্তুত দেশীয় প্রতিষ্ঠান মার্সেল।

‘ঈদ আনন্দে মাতামাতি, মার্সেল দিচ্ছে নতুন গাড়ি’ এই স্লোগান নিয়ে চলতি মাস থেকে সারা দেশে ঈদ মেগা ডিজিটাল ক্যাম্পেইন শুরু করেছে মার্সেল। এর আওতায় প্রতিবার মার্সেল ফ্রিজ, টিভি ও এসি কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পেতে পারেন নতুন গাড়ি। পেতে পারেন ফ্রিজ, টিভি, এসিও। রয়েছে নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের সুযোগ। আর এসব সুবিধা থাকছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদ পর্যন্ত।

মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, সাশ্রয়ী দামে সেরা মানের পণ্য পাওয়ায় মার্সেল পণ্যের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা দ্রুত বাড়ছে। ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতে কারাখানায় উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত করা হয়েছে নতুন মডেলের পণ্য। ডিজাইন ও কালারে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। সেলস পয়েন্টগুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ অন্যান্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেসের পর্যাপ্ত মজুদ।

মার্সেলের বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে স্থানীয় বাজারে ৬৬ মডেলের ফ্রিজ উৎপাদান ও বাজারজাত করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে এর মধ্যে রয়েছে ৫২ মডেলের ফ্রস্ট, ২ মডেলের নন-ফ্রস্ট ও ১২ মডেলের ডিপ ফ্রিজ।

ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে টেম্পারড গ্লাসডোরের ১১টি মডেল। রয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং’ সনদ প্রাপ্ত রেফ্রিজারেটর। নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের রয়েছে দুটি মডেল। এসব ফ্রিজে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনর্ভাটার প্রযু্িক্তর কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এমএম/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: