ইভটিজিং’র প্রতিবাদ করায় অধ্যক্ষের উপর হামলা 

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৮, ০৯:২৯ পিএম

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বহিরাগত বখাটের হামলায় নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে । 

হামলায় আহত হয়েছেন, অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদ (৫৬), কলেজ প্রহরি ফয়জুর রহমান (৩৫) পৌর এলাকার গন্ধা গ্রামের আফতাব চৌধুরীর মেয়ে চৈতি (১৮) আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুই জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহত কলেজ ছাত্রী চৈতী (১৮) কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকায় নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্ধা গ্রামের জুলফু মিয়ার পুত্র হুমায়ুন কবিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে হামলার পর থেকে মূলহুতা মুন্নাকে গ্রেফতারের দাবিতে তিন ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুন্নাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন কলেজ শিক্ষার্থীরা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুন্নাকে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন শিক্ষার্থী ও সকল শিক্ষকবৃন্দ।

কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, বখাটে দিপন আহমেদ মুন্না প্রায়ই ২য় বর্ষের ছাত্রী চৈতীকে উত্ত্যক্ত করতো। এ ঘটনায় চৈতী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম হোসেনের নিকট অভিযোগ দিলে অধ্যক্ষ প্রতিবাদ করেন। এরই জের ধরে বখাটে মুন্না তার দলবল দিয়ে এ হামলা চালায়। প্রতিবাদে উত্তাল নবীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শিক্ষার্থীরা।

জানাযায়, গত সোমবার নবীগঞ্জ পৌর এলাকার মদনপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের পুত্র মুন্না ও গন্ধা গ্রামের জুলফু মিয়ার পুত্র ফজলু কলেজের বহিরাগত থাকালীন কলেজে প্রবেশ করে মেয়েদের ইভটিজিং করে। এ সময় অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদ প্রতিবাদ করলে মুন্না ও তার সহযোগী হুমায়ূন ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন সকালে এসে তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: