আরও ৩৮ বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৮, ১০:২৬ পিএম

একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে নির্যাতিত আরও ৩৮ জন বীরাঙ্গনার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এ নিয়ে ২৩১ জন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৫৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সম্প্রতি গেজেট জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এখন থেকে স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনারা প্রতি মাসে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মত অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

নীলফামারী জেলার জলঢাকার মোছা. শাহেলা বেগম, ঠাকুরগাঁও সদরের মোছা. আমেনা বেওয়া, লালমনিরহাট সদরের শেফালী রানী, মোছা. রেজিয়া, মোছা. মোসলেহা বেগম এবং শ্রীমতি জ্ঞানো বালাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের পটিয়ার আছিয়া বেগম, ফেনীর ছাগলনাইয়ার রহিমা বেগম এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আফিয়া খাতুন খঞ্জনীর নাম এসেছে তালিকায়।

জয়পুরহাট জেলা সদরের মোসা. জাহানারা বেগম, নওগাঁ সাপাহারের মৃত পান বিলাসী, নাটোর বড়াইগ্রামের মোছা. হনুফা, সিরাজগঞ্জ তাড়াশের অর্চনা সিংহ ও মৃত পচি বেওয়াকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার মোছা. ওজিফা খাতুন, দয়ারানী পরামানিক ও মোছা. রাবেয়া খাতুন, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মাছুদা খাতুন, মোছা. মোমেনা খাতুন ও মোছা. এলেজান নেছা, কুষ্টিয়া সদরের মৃত রাজিয়া বেগম, ঝালকাঠি সদরের সীমা বেগম ও মোছা. আলেয়া বেগম, বাগেরহাট রামপালের মোছা. ফরিদা বেগম স্বীকৃতি পেয়েছেন।

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর মোছা. মহিরন বেওয়া, মোছা. আকিরন নেছা, মোছা. জতিরন বেওয়া, মোছা. হোসনে আরা, মোছা. হাজেরা বেগম (পিতা মৃত উমেদ আলী) ও হাজেরা বেগম (পিতা মৃত হাসেন আলী) এবং শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মৃত ফিরোজা খাতুনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

শরীয়তপুর জেলা সদরের জুগল বালা পোদ্দার, যোগমায়া ও সুমিত্রা মালো; গোপালগঞ্জ সদরের হেলেনা বেগম ও ফরিদা বেগম, গাজীপুর কালীগঞ্জের মোসা. আনোয়ারা বেগম, হবিগঞ্জ মাধবপুরের সন্ধ্যা ঘোষকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: