যে কারণে রাজশাহীবাসী লিটনকে ভোট দেবেন

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৮, ০৪:৫৭ পিএম

আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) নির্বাচন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ততই বাড়ছে। এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করছেন এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতারাও তার প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। গত কয়েকদিন ধরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী আওয়ামী লীগের মনোনীত এই প্রার্থীর প্রচারণা করছেন।

অন্যদিকে রাসিক নির্বাচনে বিএনপি মেয়র প্রার্থী করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে। নির্বাচনের শুরু থেকেই দলটি এই সিটিতে নানা ধরনের অভিযোগ করে আসছে। এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় ধানের শীষের প্রচারণার সময় ককটেল হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এতে বাংলাভিশন টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিতোষ চৌধুরী আদিত্য ও স্থানীয় দোকানি স্বপন কুমার দাস আহত হন।

পরে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু অভিযোগ করেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। বিএনপি কর্মী সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনেই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তারা। এ হামলা আওয়ামী লীগের লোকজন চালিয়েছে।’

এত অভিযোগের পরও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা গোলাম রাব্বানী মনে করছেন রাজশাহীবাসী নৌকা প্রতীকেই ভোট দেবেন। আর সেটার কিছু নমুনা তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরেছেন। বিডি২৪লাইভের পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি নিচে হুবুহু তুলে ধরা হলো-

&dquote;&dquote;প্রিয় রাজশাহী নগরবাসী, দেশরত্ন শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী রাজশাহী মহানগরের উন্নয়নের রূপকার, এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ভাইকে নৌকা প্রতীকে কেন ভোট দেবেন, তার খানিকটা নমুনা দিচ্ছি।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে মাত্র সাড়ে চার বছরের মেয়াদে লিটন ভাই এর উন্নয়ন যজ্ঞের খণ্ডাংশ....

নাগরিক পরিসেবা খাত

১. উপশহর ও পদ্মা আবাসিকের উন্নয়ন।
২. নগরী জুড়ে পরিচ্ছন্ন সড়ক ও ফুটপাত।
৩. আধুনিক রাজশাহী সড়কে ডেকোরেটেড লাইট।
৪. ফায়ার সার্ভিস থেকে নওদাপাড়া সড়ক।
৫. জিরোপয়েন্ট থেকে রেলগেট সড়ক নির্মাণ।
৬. গোরস্থান সংস্কার (গোরহাঙ্গা)
৭. পঞ্চবটী শ্মশানঘাট কমপ্লেক্স নির্মাণ।
৮. রাজশাহী ঢাকা বিমান সার্ভিস পুনরায় চালু।
৯. ধুমকেতু ট্রেন চালু।
১০. ১৯ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগকারী ফুটওভারব্রিজ।
১১. বিভিন্ন পয়েন্টে সুসজ্জিত যাত্রী ছাউনি।
১২. সমন্বিত ড্রেনেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন।
১৩. নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা।
১৪. রাত্রিকালীন আবর্জনা অপসারণে সফলতা।
১৫. শোভাবর্ধক ডাস্টবিন নির্মাণ।
১৬. সড়ক পরিষ্কারে আধুনিক সুয়িপিং মেশিন ব্যবহার।
১৭. শ্যামপুরে এএইচএম কামরুজ্জামান পানি শোধনাগার নির্মাণ।
১৮. শাহ্‌ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ বর্ধিতকরণ ও সংস্কার।
১৯. নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণ।
২০. নগরীতে ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা করা।
২১. ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বড় মসজিদের সংস্কার।
২২. ২ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মিয়াপাড়া ধর্মসভা কমপ্লেক্সের কাজ শুরু।
২৩. প্রায় ৩০০ মসজিদ, মন্দির, গোরস্থান ও শ্মশান সংস্কার, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন।
২৪. দেশে প্রথম বারের মত মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিনদের ঈদ উপলক্ষে সম্মানী প্রদান।
২৫. ওয়াসা স্থাপনের মাধ্যমে নগরীতে সুপেয় পানির অভাব দূরীকরণ।
২৬. উপশহর মোড় থেকে সোনাদিঘির মোড় এবং মালোপাড়া মোড় হতে সাগরপাড়া পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণের উদ্যোগ।
২৭. নগরের ১২০ কিঃমিঃ রাস্তায় সোলার বাতি লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত।
২৮. শাহ্‌ মখদুম মহাবিদ্যালয় থেকে ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত ১টি ও ভদ্রায় স্মৃতি অম্লান-বাইপাস-গ্রেটার রোডের সাথে ত্রিমুখী ফ্লাইওভার নির্মাণের সিদ্ধান্ত।

&dquote;&dquote;সংস্কৃতি ও বিনোদনখাত

১. ফুদকিপাড়ায় উন্মুক্ত মঞ্চ নির্মাণ।
২. পদ্মা বাঁধের উপর দীর্ঘ ওয়াকওয়ে নির্মাণ।
৩. কেন্দ্রীয় পার্কের ঝুলন্ত ব্রিজ।
৪. কেন্দ্রীয় পার্কের ফেইরিজ হুইল।
৫. শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান পার্ক।
৬. দরগাপাড়া পদ্মাপাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ।
৭. বড়কুঠি বিনোদন পার্ক নির্মাণ।
৮. জমজমাট রাজশাহীর সংস্কৃতিক অঙ্গন।
৯. পূর্ণাঙ্গ টিভি স্টুডিওর যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ, সম্প্রচার শুরুর অপেক্ষায়।
১০. ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা পরিষদ মিলনায়তন আধুনিকায়নের কাজ শেষ পর্যায়ে।
১১. ৫১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঐতিহ্যবাহী ভুবন-মোহন পার্কে গ্যালারী, রেস্তরা, ড্রেসিং রুমসহ আরও অনেক কাজ চলছে।

স্বাস্থ্যখাত

১. সমাজ সেবকদের সহায়তা নিয়ে নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন শিশু হাসপাতাল ও রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক।
২. ডায়াবেটিক হাসপাতাল।
৩. ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১টি মাতৃসদন নির্মাণ শুরু হতে যাচ্ছে।
৪. সিটি হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
৫. সম্প্রতি টিকাদান কর্মসূচিতে পরপর ৪ বছর প্রথম পুরস্কার অর্জন।

শিক্ষা ও প্রযুক্তিখাত

১. ইন্টারনেট প্রেমীদের জন্য পদ্মাপাড়ে ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন।
২. নগরীর পশ্চিমাঞ্চলে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য আইটি পার্ক।
৩. নগরীর ঐতিহ্যবাহী কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় এনে ইতোমধ্যে ৫৭ লক্ষ টাকার উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে এবং এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
৪. এছাড়াও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে নগরীতে ৩৯টি স্কুল ও কলেজের প্রায় ১৫ কোটি টাকার ও করপোরেশনের ফান্ড থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ।
৫. রাজশাহী মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে।

ক্রীড়া

১. শহীদ কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম।
২. কাউন্সিলর গোল্ডকাপ-ফুটবল প্রতিযোগিতা।
৩. ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়ায় বিকেএসপির শাখা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
৪. ক্রিকেট প্রেমীদের প্রাণের দাবি, রাজশাহীতে টেস্ট ভ্যেনু করার উদ্যোগ হিসেবে পর্যটন মোটেলকে তিন তারকায় উন্নতিকরণ ও পিপিপি-র মাধ্যমে তিন তারকা হোটেল নির্মাণের উদ্যোগ।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: