নির্যাতন করার সেরা ছয়টি প্রাচীন যন্ত্র! (ছবি সহ)
১.ওয়াটার টর্চার:
ক) পানি দিয়ে অত্যাচারের এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হত স্পেনে।
খ) যন্ত্রটি তেমন শারীরিক কষ্ট দিত না তবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলত।
গ) স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য অপরাধীকে এই চেয়ারে বেঁধে বসানো হত এবং তার কপালে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ত।
ঙ) দীর্ঘ সময় ধরে এভাবে পানি পড়তে থাকলে সবচেয়ে কঠিন লোকটিও একসময় ভেঙে পড়ত এবং সঠিক স্বীকারোক্তি প্রদান করতে বাধ্য হত।
২. দ্যা র্যাক:
ক) মধ্যযুগে ব্যবহৃত হত র্যাক পদ্ধতি, যা ছিল চারটি দড়িসহ একটি কাঠের বিছানা।
খ) দড়ি চারটি দিয়ে দুই পা এবং দুই হাত বাঁধা হত।
গ) দড়িগুলো ধীরে ধীরে টানা হত।
ঘ) এতে অত্যাচারিত ব্যাক্তির হাত-পায়ের হাড় ভেঙ্গে যেত।
ঙ) কখনও কখনও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সম্পূর্ণরূপে ছিঁড়ে যেত।
চ) সাধারণত ধর্মদ্রোহী এবং বিশ্বাসঘাতকদের নিকট থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য এ যন্ত্র ব্যবহৃত হতো।
৩. স্ক্যুল’স ব্রিডল:
ক) মধ্যযুগে অন্যদের সাথে অমূলক গল্পগুজব করার অপরাধে স্ত্রীদেরকে তাদের স্বামীরা এই পদ্ধতিতে শাস্তি দিত।
খ) এটি ছিল লোহার তৈরী এক ধরনের মুখোশ, যা মহিলাদের অপদস্থ করার জন্য তাদের মাথায় পরানো হত।
গ) এর ফলে তারা কথা বলতে পারত না।
ঘ) কখনো কখনো মানুষকে দেখানোর জন্য তাদেরকে শহরে সকলের সামনে এই অবস্থায় ঘুরানো হতো।
ঙ) সবচেয়ে বড় বিষয় হল-এতে করে স্ত্রীরা লোকসমাজে ভীষণভাবে অপদস্ত হতেন।
৪. আয়রন মেইডেন:
ক) সবচেয়ে সুপরিচিত এবং কুখ্যাত যন্ত্রগুলির মধ্যে একটি হল আয়রন মেইডেন।
খ) এতে দরজার ভিতরে এবং দরজার উপর অনেকগুলো বড় বড় পেরেক বসানো থাকত।
গ) অপরাধীকে ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়া হত। ফলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভেঙ্গে রক্তপাতে সে মারা যেত।
ঘ) নির্যাতনের এ যন্ত্রটিকে আগে কাল্পনিক মনে করা হলেও, অষ্টাদশ শতকে জার্মানির নুরেমবার্গে এরকম একটি বাস্তব যন্ত্রেও হদিস পাওয়া যায়।
৫. আয়রন চেয়ার:
ক) আয়রন চেয়ার মূলত একটি ভয়ানক মধ্যযুগীয় নিপীড়ন যন্ত্র।
খ) এটা দেখতে যতোটা ভয়ংকর ছিল, ব্যবহারেও ছিল ততোটাই ভয়ানক।
গ) চেয়ারটি শত শত তীক্ষ্ম পেরেক দ্বারা পূর্ণ থাকত।
ঘ) এই চেয়ারে অপরাধীকে জোর করে বসানো হতো।
ঙ) এরপর অপরাধীকে ঝলসানোর জন্য চেয়ারের নিচে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হত।
৬) থাম্বস্ক্রু :
ক) ছবিতে যে যন্ত্রটি দেখা যাচ্ছে সেই যন্ত্রটির ভিতরে নির্যাতিত ব্যাক্তির হাতের আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয়া হত।
খ) এরপর স্ক্রু ঘুরিয়ে ঘুিরয়ে আঙুলে চাপ সৃষ্টি করা হত।
গ) যন্ত্রণায় নির্যাতিত ব্যাক্তি হয় স্বীকারোক্তি প্রদান করতো অথবা লোহার পাতের চাপে তার হাতের আঙ্গুলের হাড়-গোড় রক্ত-মাংস সব একাকার হয়ে যেত।
বিডি২৪লাইভ/এসএস
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: