যে কারণে মাহমুদুরকে পেটালো ছাত্রলীগ (ভিডিও)

কুষ্টিয়ায় আদালত থেকে মানহানির মামলায় জামিন নিয়ে বের হওয়ার সময় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়ার সময় লাঠি ও ইট দিয়ে আঘাত করায় তিনি আহত হয়েছেন। হামলায় তার মাথা ও মুখ জখম হয়েছে। তাকে বহনকারী গাড়ির গ্লাসও ভেঙে ফেলা হয়।

এ হমালার জন্য অভিযোগ করা হয়েছে ছাত্রলীগকে। রবিবার (২২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে কটূক্তি করে বক্তব্যে দেওয়ায় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত ওরফে তুষারের দায়ের করা মানহানি মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

কুষ্টিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক এম এম মোর্শেদ ১০ হাজার টাকা জামানতে স্থায়ীভাবে এই জামিন মঞ্জুর করেন।

২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত। ওই মামলায় ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত।

জামিন হলেও হামলার ভয়ে আদালতের এজলাসে অবস্থান নেন মাহমুদুর রহমান। এ সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সেখানে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ মাহমুদুর রহমানকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বললে বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কারে উঠে রওনা হন। গাড়িতে ওঠার পরপরই আচমকা তার ওপর প্রথমে স্যান্ডেল ছুড়ে মারেন ছাত্রলীগের এক কর্মী। এরপর চারদিক থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়ে যায়।

এ সময় গাড়ির কাচ ভেঙে কয়েকটি ইট তার মাথায় ও মুখে লাগে। এতে তার গাল, কপাল ও মাথার পেছনে কেটে যায়। হামলার মধ্য থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে গাড়ি থেকে বের করে আইনজীবীরা একটি চেম্বারে নিয়ে যান। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ওই আইনজীবীর চেম্বারে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের বেশ কয়েকজনের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা হামলাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাদের ওপর চড়াও হন হামলাকারীরা।

পরে বিকাল পাঁচটার দিকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাহমুদুর রহমান ও তার সহযোগীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে থাকা বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ এ হামলা চালিয়েছে।

পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আদালতের বারান্দায় বসে মাহমুদুর রহমান এ হামলার প্রতিবাদ করেন। আদালতের ভেতরে এ ঘটনার জন্য পুলিশকে দোষারোপ করেন তিনি। বলেন, ‘আজ এখানে প্রয়োজনে জীবন দেব। দেশের জন্য, ইসলামের জন্য জীবন দেব। নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে পুলিশ আমাকে গুন্ডাদের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলা হয়েছে। এর জন্য একদিন তাদেরও আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

মাহমুদুর রহমানের উপর হামলার ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ