ছাত্রীকে চেয়ারম্যানের ভাইয়ের কু-প্রস্তাব, মামলা, এরপর.. 

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০১৮, ১২:২২ পিএম

আদালতের নির্দেশে মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর তন্তর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন গংদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রেকর্ড করার প্রায় ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে থানা পুলিশ আসামি গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ ভূক্তভোগী অসহায় ফুলমালা বেগমের।

উপজেলার পানিয়া গ্রামের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে তন্তর ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়িঘর-ভাঙচুর করার ঘটনায় সুমাইয়ার বাবা আলী হোসেন ঈদুল ফিতরের দিন শ্রীনগর থানায় একটি অভিযোগ করেন। প্রায় এক মাস পার হয়ে গেলেও রহস্য জনক কারণে শ্রীনগর থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করছিলেন না। পরবর্তীতে ভূক্তভোগী সুমাইয়ার মা ফুলমালা বেগম মুন্সীগঞ্জ আদালতে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি পিটিশন মামলা করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভূক্তভোগী অসহায় পরিবারের সদস্য আলী হোসেন এর মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়াকে কু-প্রস্তাব দেয় তন্তর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ভাই মিনার। ছাত্রী সুমাইয়া কু-প্রস্তাবের বিষয়টি তার বাবা-মার কাছে জানায়। ইউপি চেয়ারম্যান জাকিরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করাতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান জাকিরের নেতৃত্বে পলাশ, নিঝু মল্লিন, ফারুক, বজলু, রকিব, হারুন, নাসিরসহ প্রায় ৫০/৬০ জনের একটি সংঘবদ্ধদল সন্ত্রাসী কায়দায় আলী হোসেনের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। ঘরের ভেতরে থাকা ফ্রিজ, হারি-পাতিলসহ বিভিন্ন আসবাব পত্র পুকুরে ফেলে দেয়। যেকোনো সময় পুনরায় সন্ত্রাসী বাহিনী অসহায় পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে এমন ভয়ে পরিবারটি নিকট আত্মীয়সহ বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

বাড়ি-ঘর ছাড়া অসহায় ফুলমালা বেগম বলেন, নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আমার এক ছেলে ফাহাদ ৭ম শ্রেণিতে ও মেয়ে সুমাইয়া ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে আমার ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। প্রতি মুহূর্তে আতংকে দিন পার করছেন বাড়ি-ঘর ছাড়া পরিবারটি। ভূক্তভোগী অসহায় পরিবারের সদস্য সুমাইয়ার মা ফুলমালা বেগম মুন্সীগঞ্জ আদালতে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ১০/৩০ মামলা দায়ের করেছেন। গত ১১ জুলাই শ্রীনগর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

ভূক্তভোগী ফুলমালা বেগম কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, আমরা গরীব বিধায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের দারস্ত হলেও প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করছেন না থানা পুলিশ।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও শ্রীনগর সার্কেল কাজী মাকসুদা লিমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও তদন্ত চলছে।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: