ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আমপাতা
আম হচ্ছে ‘ফলের রাজা’। কাঁচা কিংবা পাকা সব ধরনের আমই পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ। আমে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কার্যকরী। ফল হিসেবে আম যতটা সুস্বাদু ততটাই পুষ্টিকর। তবে শুধু আম নয়, আম পাতাও নানা ধরণের ঔষধি গুণের অধিকারী। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে আম পাতার ঔষধি গুণের কথা। প্রাচীনকালে এটি ওষুধি হিসেবে ব্যবহার করতেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কচি আম পাতা দেখতে কিছুটা লালচে ও বেগুনি রঙের হয়। ধীরে ধীরে এটা গাঢ় সবুজ রঙ ধারন করে। এই পাতাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এবং ফ্ল্যাভোনয়েড ও ফেনল থাকে। দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় কচি আম পাতা রান্না করে খাওয়ার প্রচলন আছে। আমের পাতাতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদানও যাকে। এছাড়া কচি আম পাতা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা যায়।
প্রাচীন চীনে আম পাতা ডায়াবেটিস ও অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ কাজে ব্যবহৃত হতো। ২০১০ সালে বৈজ্ঞানিক গবেষণায়ও এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইঁদুরের উপর করা ওই গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ইঁদুরকে আম পাতা খেতে দেওয়া হয়েছে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা অন্যদের তুলনায় অনেক কমে গেছে। গবেষকরা বলছেন, আম পাতা শরীরে ইনসুলিনের মতো কাজ করে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া এতে ভিটামিন সি,পেকটিন এবং ফাইবার থাকায় এটি কোলেষ্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। এসব ছাড়া আম পাতা ডায়াবেটিসের নানা উপসর্গ যেমন-ঘন ঘন মূত্রত্যাগ, দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া এগুলো প্রতিরোধ করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভালো ফল পেতে নিয়মিত আম পাতা খেতে পারেন। আম পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো রাখতে পারেন। আবার গরম পানিতে সেদ্ধ করে চায়ের মতো পান করতে পারেন । এছাড়া তাজা পাতা পানিতে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিয়ে সকালে ছেঁকে নিয়ে এ পানি পান করতে পারেন।
সূত্র : এনডিটিভি
বিডি২৪লাইভ/এমআরএম
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: