কারাগারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্র 

প্রকাশিত: ০৯ আগষ্ট ২০১৮, ০৯:৩৫ পিএম

পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় রিমান্ড শেষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) শুনানি শেষে আসামিদের জামিন নাকচ করে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রদ শিকদার কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

এদিন দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার দুই তদন্তকারী কর্মকর্তা।

ঢাকার বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান হওলাদার, একেএম মহিউদ্দিন ফারুক, কামরুদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আসামিদের জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আবু হানিফ।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন শুনানিতে বলেন, আসামিরা সবাই ছাত্র হলেও এজাহারে তা উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। আমরা কেউ সমাজের বাইরে নই। আপনিও (বিচারক) জানেন তাদের সঙ্গে কী হয়েছে। ঘটনার দিন যারা মার খেল আর তারাই আসামি হলো। বাংলাদেশের মানুষ সবাই জানে ছাত্রদের কোনো অপরাধ নেই। জামিন না পেলে তাদের শিক্ষাজীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যে কোনো শর্তে আসামিদের জামিনের প্রার্থনা করেন আইনজীবীরা। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আবু হানিফ।

জামিন শুনানির সময় আসামিদের অভিভাবকরা আদালতে ভিড় করেন। শুনানি শেষে বিকালে আসামিদের প্রিজনভ্যানে করে আদালতের হাজতখানা থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় আসামিদের আত্মীয়স্বজন অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এর আগে গত ৭ আগস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদ ২২ ছাত্রদের দুই মামলায় রিমান্ডে পাঠায় সিএমএম আদালত। রিমান্ডে নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রয়েছে। এর মধ্যে বাড্ডা থানার এক মামলায় ১৪ জন, ভাটারা থানায় আরেক মামলায় আসামি আটজন।

বাড্ডা থানার মামলায় আসামিরা হলেন- রিসালাতুল ফেরদৌস, রেদোয়ান আহমেদ, রাশেদুল ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এ এইচ এম খালিদ রেজা, তারিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মাদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক ও হাসান।

ভাটারা থানার মামলায় আসামিরা হলেন- আজিজুল করিম, মাসাদ মরতুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন ও আমিনুল এহসান।

আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তারের পর ছাত্রদের নির্যাতন করা হয়েছে। সোমবার আফতাব নগর ও বসুন্ধরা এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেদিন একদল বহিরাগত যুবক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। যদিও তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি।

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: