যমুনায় নিখোঁজ, ফিরে অদ্ভুত কাহিনী শোনালেন তরুণী!
গত বুধবার যমুনা নদীতে গোসল করতে যান কলেজছাত্রী আফিয়া জান্নাত সুমি (২১)। এরপর থেকেই আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাকে পেতে এলাকায় মাইকিং ও স্বজনরা নৌকা নিয়ে পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জের কাজীপুর পর্যন্ত খোঁজ করেছেন। কিন্তু তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না।
সুমি পানিতে ডুবে গেছেন ধারণা করে একদিন ধরে নদীতে উদ্ধার কাজ চালায় ফায়ার সার্ভিস। না পেয়ে ধরেই নেওয়া হয়েছিল মৃত্যু হয়েছে তার।
তবে সবাইকে অবাক করে নিখোঁজের ৪৩ ঘণ্টা পর গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বাসায় ফিরে আসেন সুমি। সবাইকে শোনান তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা। এলাকাবাসী বলছেন সুমির মুখে শোনা ঘটনা যেন 'অবিশ্বাস্য' এক কাহিনী।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় উত্তর শহড়াবাড়ি গ্রামে। ওই গ্রামের হায়দার আলীর মেয়ে সুমি। তিনি ধুনট ডিগ্রি কলেজের সম্মান ব্যবস্থাপনা বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী।
এদিকে এমন ঘটনার পর জনমনে কৌতুহলের সৃষ্ঠি হয়েছে। সুমিকে এক নজর দেখার জন্য বাড়িতে উৎসুক মানুষের ভীড় জমে উঠেছে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সুমি বাড়ির পাশে যমুনা নদীতে গোসল করতে যান। পরে তার আর খোঁজ মেলেনি। নদীর পাড়ে মেলে সুমির পরনের কাপড়। পরিবারের লোকজনের ধারণা হয় অসাবধানতাবশত যমুনায় ডুবে গেছেন তিনি।
খবর পেয়ে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সাতজন ডুবুরি বুধবার সন্ধা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সুমিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। পরে ব্যর্থ হয়ে তারা ফিরে যান। এ সময় পুলিশও ডুবুরিদের সহযোগীতা করে।
এ বিষয়ে কলেজছাত্রী আফিয়া জান্নাত সুমি বলেন, যমুনায় গোসল করতে নামেন তিনি। এরপর কী হয়েছে তা মনে নেই। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের অচেনা এক স্থানে জ্ঞান ফেরে তার। সেখানে এক তরুণী তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। ওই তরুণী জানান, অপরিচিত এক মাঝি তাকে সেখানে রেখে গেছে।
সুমি আরও বলেন, জ্ঞান ফিরে দেখেন তার পরণের কাপড় শুকনা ছিল। পরে ওই তরুণী শুক্রবার সকালে তাকে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের ধুনট মোড় এলাকায় রেখে যান। সেখান থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি ফেরেন তিনি।
কলেজছাত্রীর বড় ভাই ঢাকায় কর্মরত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন বলেন, যমুনায় গোসল করতে যাওয়ার বিষয়টি সত্যি। কিন্ত পরবর্তী সব ঘটনা 'ভৌতিক কাণ্ড' বলে মনে হয়েছে। তবে অসুস্থতার কারণে সুমিকে ডাক্তার ও কবিরাজি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ধুনট ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, 'যমুনা নদীতে নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে আমরা মেয়েটিকে উদ্ধারের সব ধরনের চেষ্টা করেছি। তবে কী কারণে মেয়েটি যমুনায় নিখোঁজের গুজব ছড়িয়েছে তা বলতে পারছি না। পুলিশের উচিৎ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা।'
বিডি২৪লাইভ/আরআই
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: