আয়-ব্যয় দুটোই বেড়েছে আ’লীগের

প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০১৮, ০৩:৩৫ পিএম

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০১৭ সালে আয়-ব্যয় দুটোই বেড়েছে। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে বার্ষিক হিসাব জমা দেন।

এতে দেখা যায়, গত বছর দলটির আয় হয়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৬ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৯ টাকা।

দলের আয়ের উৎস হলো- নেতাদের মাসিক চাঁদা, জেলাভিত্তিক প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ফি, সংসদ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের চাঁদা, মনোনয়ন ফরম বিক্রি (উপনির্বাচন), দলের পত্রিকা, সাময়িকী ও বই–পুস্তক বিক্রি, বিজ্ঞাপন (উত্তরণ), অনুদান, প্রাথমিক সদস্য ফরম বিক্রি, জেলা মঞ্জুরি ফি, পুরোনো কাগজ বিক্রি, ভবন নির্মাণের জন্য অনুদানসহ বিবিধ আয়।

&dquote;&dquote;ইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে দলটির আয় ছিল ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা এবং ব্যয় ছিল ৩ কোটি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। সেই হিসেবে বছর ব্যবধানে দলটির আয় বেড়েছে ১৫ কোটি ৪০ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৯ টাকা এবং ব্যয় বেড়েছে ১০ কোটি ৬১ লাখ ৬৩ হাজার ৫২০ টাকা। একই সঙ্গে ২০১৭ সালে ব্যয়ের চেয়ে ৬ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ১১৭ টাকা আয় বেশি হয়েছে।

এর আগে ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ আয় করে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা। ব্যয় করে ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা। এ বছরও দলটি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেখিয়েছিল।

২০১৪ সালে দলটি আয় দেখিয়েছে ৯ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৩ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮২১ টাকা। এ বছর প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল আওয়ামী লীগের। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ আয় দেখিয়েছিল ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ বছর প্রায় ৬ কোটি টাকা দলটির উদ্বৃত্ত ছিল।

২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর। কোনো দল পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা না দিলে ইসি চাইলে তার নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।


বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: