বাস-ট্রাকের সংঘর্ষ, ট্রাক চালক নিহত

প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০১৮, ০৬:২৯ পিএম

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের কোর্শাবাদাগৈড়ের পাইস্কা নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এতে ট্রাক চালক নাহিদ (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নাহিদ জেলার সদর উপজেলার বাজিতখিলা গ্রামের মৃত ফকির মিয়ার ছেলে।

&dquote;&dquote;গুরুতর আহতরা হলেন, নকলা উপজেলার মুজাকান্দা গ্রামের মিন্টু মিয়ার মেয়ে সুমি, উরফা এলাকার মহর আলীর স্ত্রী হাজেরা, বাজারদীর নিতাই চন্দ্রের ছেলে লালচাঁন, উকিল পাড়ার নাজিম উদ্দিনের ছেলে রুবেল, নকলা উত্তর পাড়ার আক্কাছ আলীর ছেলে আব্দুল মুকিত ও ছুরহাব আলীর ছেলে আক্কাছ আলী, বাদাগৈড় এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে রফিক ও আজিম উদ্দিনের ছেলে বাহেজ উদ্দিন, পাইস্কা এলাকার মৃত আবেদ আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন; নালিতাবাড়ী উপজেলার চাঁন মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম, জাফল উদ্দিনের ছেলে আজিম উদ্দিন, আব্দুল আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ, কাদেরের স্ত্রী নিলিমা আক্তার, বারেকের ছেলে আব্দুল হালিম, বারিক মাস্টারের ছেলে স্বদেশ, স্বদেশের মেয়ে সুরঞ্জিতা, শেরপুর সদরের মৃত মুকিমের ছেলে নাহিদ, নওশেদ আলীর মেয়ে নাসরিন, মুছা মিয়ার ছেলে হিরু মিয়া ও ময়মনসিংহের মুক্তা গাছা উপজেলার দুলারের ছেলে রাসেল মিয়া।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রাক ও নালিতাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতদের শারীরিক অবস্থার অবনতি গঠতে থাকলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাছাড়া আরও বেশ কয়েক যাত্রী হালকা আহত হয়েছেন। তারা নকলা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন বলে জানান জরুরি বিভাগে কর্মরত ডাক্তার।

এ দুর্ঘটনা ঘটার পরপরই জনসাধারণ ও উদ্ধারকর্মীদের ভিড়ে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের ওই স্থানে ঘন্টা খানেক যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল, নকলা থানার পুলিশ ও স্থানীয়রা দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটিকে সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

&dquote;&dquote;এই সংবাদ পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মাহবুবুল আলম সোহাগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে নকলা থানায় একটি মামলা করার ও নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: