পদ্মায় বিলীন স্কুলের ভবন, বন্ধ পাঠদান

প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০১৮, ১০:০৯ পিএম

হারুন-অর-রশীদ,
ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আটটি বাড়ি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফাজেল খাঁর ডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্কুল ভবনটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) থেকে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা থেকে পদ্মা নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালের মধ্যে ফাজিল খাঁর ডাঙ্গি সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ওই স্কুলের আশেপাশের আরও আটটি পরিবারের বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

নদী গর্ভে বাড়ি হারিয়েছেন ওই গ্রামের মোতালেব মুন্সী, ইউসুফ পাট্টাদার, খোকন মোল্লা, চুন্নু মোল্লা, ইদ্রিস মোল্লা, আলীম শেখ ও স্বপন শেখ।

এক সময় দুই একর ফসলী জমি এবং নাড়কেল ও আমসহ বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ খাঁন বলেন, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ফাজিল খাঁর ডাঙ্গী এলাকায় পদ্মা নদী ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। স্কুলসহ একে একে আটটি বসতবাড়ি ফসলি জমি ও গাছপালা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়।

তিনি বলেন, স্কুল ভবন রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড দুই দফা বালির বস্তা ফেললেও তা কোন কাজে আসেনি।

জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে ৩৩ শতাংশ জমির উপর এ স্কুলটি স্থাপিত হয়। এরপর ১৯৯৩ সালে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ চার কক্ষ বিশিষ্ট এ ভবনটি করে দিয়েছিল। ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে ৯৭জন এবং শিক্ষক আছেন পাঁচজন।

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান জানান, সোমবার দিবাগত রাত চারটার দিকে বিদ্যালয়ে চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা পাকা ভবনটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। ফজরের নামজ পড়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সব শেষ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ভবনটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে পাঠ দান বন্ধ রয়েছে। পাঠদান চালু রাখার জন্য আমরা বিকল্প খোঁজ করছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিবপদ দে জানান, ভেঙ্গে যাওয়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিকল্প ভাবে চালু করার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, স্থায়ী কাজ ছাড়া এ ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব না। অপর পাড়ে চর পড়ায় নদীর স্রোত সরাসরি ওই পয়েন্টে আঘাত করায় এ ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে একনেকে প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে স্থায়ী কাজ করা সম্ভব হবে।


বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: