ঘরমুখো যাত্রীসেবায় থাকছে ৩০টি নৌযান

প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০১৮, ১০:২৫ পিএম

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটে ৩০ টি বিলাসবহুল নৌ-যান যাত্রীসেবা প্রদান করবে। বরিশাল নদী বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ঈদুল আজহাকে ঘিরে আগামী ১৮ আগস্ট থেকেই লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস শুরু করা হবে।

যাত্রীসেবা দিতে ব্যক্তি মালিকানাধীন লঞ্চের পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিসি তাদের সরকারি ৬টি নৌযান প্রস্তুত রেখেছে। যাত্রীচাপ সামাল দিতে বিগত সময়ের ন্যায় নানান ধরনের পদক্ষেপও নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। ইতোমধ্যে যাত্রীদের নিরাপত্তায় বরিশাল নদীবন্দরকে ঘিরে প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে নদী বন্দর এলাকায় যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত যাত্রী ছাউনি নির্মাণ, ঢাকামুখী নৌযানের বার্দিং (পার্কিং) প্লেস প্রসারিত করা, ঈদের আগে ও পরে ৭ দিন করে ১৪ দিন বাল্কহেডসহ ঝুকিপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা, নদীতে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র টহল নিশ্চিত করাসহ নানান পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, এবারে বরিশাল নদী বন্দর থেকে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেয়া হবে না। ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র মনিটরিং ছাড়াও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেটরা অবস্থান করবেন। এবারেও বরিশাল নদী বন্দরে একত্রে ২২টি লঞ্চ বার্দিং এর সুবিধা পাবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বরিশাল থেকে ঢাকা রুটে এবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরাসরি যাত্রীসেবা প্রদান করবে এমভি এ্যাডভেঞ্চার-১,৯, কীর্তনখোলা-২, ১০, সুরভী-৭, ৮, ৯, সুন্দরবন-৮, ১০, ১১, পারাবত-৮, ৯, ১০, ১১, ১২, কালাম-১, দীপরাজ, ফারহান-৮, টিপু-৭, কালামখান-১, গ্রীন লাইন-২,৩।

অপরদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিসি’র জাহাজ বাঙ্গালী ও মধুমতি ছাড়াও স্টীমার সার্ভিসে পিএস মাহসুদ, লেপচা, অষ্ট্রিচ, টার্ণ নামের ৬টি নৌযান থাকছে। যারা আগামী ১৬ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে যাত্রীসেবা প্রদান করবে। এছাড়া ভায়া হিসেবে বরিশাল নদী বন্দর হয়ে আরও ৮টি লঞ্চ যাত্রীসেবা প্রদান করবে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: